চেন্নাই: নয়া কৃষি আইন নিয়ে রাহুল গান্ধীকে বেনজির আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের। সোনিয়া-তনয়কে তুলোধনা এই বিজেপি নেতার। রাহুলকে বিঁধে জাভড়কের এদিন বলেন, ‘‘হঠাৎ করে কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুললেন রাহুল গান্ধী। কৃষি আইন ভালো না মন্দ, তা আদৌ বুঝিয়ে বলতে পারবেন তো? বিতর্কে প্রস্তুত রয়েছি। চ্যালেঞ্জ রইল।’’
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে জটিলতা জারি। আইন বাতিলের দাবিতে এখনও দিল্লি ঘেরাও করে রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। আলোচনার মাধ্যমে জট কটাতে তৎপর কেন্দ্র। এদিকে, কৃষক আন্দোলনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শনিবার ২৬ ডিসেম্বর গোটা দেশে ‘ধিক্কার দিবস’ পালন সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় সমিতির।
২৭ ডিসেম্বর আরও একটি কর্মসূচি পালন করবে সারা ভারত কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় সমিতি। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’-এর বিরোধিতা করে ‘থালা পিটো’ কর্মসূচি পালন করার ডাক দিয়েছে এই সংগঠনটি।
দিন কয়েক আগেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াহ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের নেতারা।
যদিও কংগ্রেসের সেই পদযাত্রাকে আটকে দেয় পুলিশ। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে ধস্তাধসতি শুরু হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে আটক করা হয়। যদিও পরে রাহুল গান্ধী কয়েকজন সিনিয়র কংগ্রেস নেতাকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন রাহুলরা।
পরে সাংবাদিকদের সামনে নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন রাহুল গান্ধী। কৃষকদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন রাহুল। কৃষি আইন বাতিলের দাবি তোলেন রাহুল গান্ধী। এবার রাহুলকে সেই ইস্যুতে জবাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের।
রাহুল গান্ধী কৃষি আইনের ভালো বা খারাপ দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থেকেই মনগড়া কথা বলছেন বলে দাবি জাভড়েকরের। একইসঙ্গে রাহুলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ করে কৃষি আইন বাতিলের দাবি তুললেন রাহুল গান্ধী। কৃষি আইন ভালো না মন্দ, তা আদৌ বুঝিয়ে বলতে পারবেন তো? বিতর্কে প্রস্তুত রয়েছি। চ্যালেঞ্জ রইল।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.