দার্জিলিং: পাহাড় দখলের শক্তি পরীক্ষা শুরু বিমল ও বিনয়ের। সেই মোটরস্ট্যান্ড, যেখানে পাঁচ দিন আগে যেখানে বিরাট জনসভায় টানা সাড়ে তিন বছর পর ‘পলাতক’ গুরুং প্রত্যাবর্তন করে আস্ফালন করেছিলেন, সেখানেই তামাং শিবিরের জনসভা উপচে পড়ল।

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুসারে সোনাদা স্টেশন থেকে ঘুম হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) বিনয় তামাং শিবির পরিবর্তন যাত্রা করল। পদযাত্রায় অংশ নেন তামাং শিবিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড অনীত থাপা। সূত্রের খবর, অসুস্থ থাকায় শিলিগুড়িতে চিকিৎসাধীন বিনয় তামাং।

দার্জিলিং চকবাজার মোটরস্ট্যান্ডে প্রত্যাবর্তন জনসভায় মোর্চার অপর নেতা গুরুং হুঙ্কার দিয়েছিলেন, দু সপ্তাহের মধ্যে ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ বিনয় তামাং ও অনীত থাপা সহ বিরোধী গোষ্ঠীর সবাইকে হয় সমঝোতা করতে হবে নয় পাহাড় ছাড়া করা হবে।

২০ ডিসেম্বরের সেই জনসভার পর থেকেই দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চল ও কালিম্পং জেলা জুড়ে চর্চা চলছে, প্রত্যুত্তরে কী অবস্থান নেবেন বিনয় তামাং। দুই গোর্খা নেতার দ্বন্দ্বে প্রশাসনিক মহল অশান্তির আশঙ্কা করেছে। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে ফের তৃণমূল শিবিরে এসেছেন সরকারের খাতায় ‘পলাতক’ গুরুং।

আর তৃণমূল শিবির ছেড়ে এখন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাং। শনিবার বিনয় তামাংয়ের নির্দেশে তাঁর অনুগামী মোর্চার সদস্যরা বিরাট ‘পরিবর্তন যাত্রা’ করে মোটরস্ট্যান্ডে হাজিরা দিয়ে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা দিলেন। গোজমুমো সংগঠনের পরস্পর বিরোধী গোষ্ঠীর জনসভায় সরগরম দার্জিলিং।

তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বৈরি ভাব তৈরি হওয়ার পর গুরুং বিরোধী শিবিরের গোর্খা নেতা বিনয় তামাং তৈরি হচ্ছেন রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রমাণে। গোজমুমো রাজনীতির গুরুং ও তামাং শিবিরের দ্বন্দ্ব ঘিরে বড়দিনের উৎসব আমেজেও ঝঞ্ঝাটের মেঘ দেখতে পাচ্ছেন জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই পার্বত্য জেলার গোর্খা আবেগ টানতে মরিয়া শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। আর উঠতি বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি তৈরি। যে বিমল গুরুং কে নির্ভর করে দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রবেশ করেছিল তাদের ছত্রছায়া ছেড়েছেন গোর্খা নেতা।

আপাতত গুরুং ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায়। একাধিক হামলা ও সশস্ত্র হামলায় জড়িত গুরুং যখন বিজেপি আশ্রয়ে ছিলেন তখন গোজমুমো নেতা হিসেবে বিনয় তামাং উঠে আসেন তৃণমূল নেত্রীর ‘আশীর্বাদ’ পেয়ে। পুরো সমীকরণ এখন উল্টে গিয়েছে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিমল গুরুং শিবিরের কর্মীর দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্যএলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গুরুংয়ের নামেই খোলা হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি কার্যালয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।