মারগাও: ভারতীয় ফুটবলের দুই পাওয়ার-হাউস ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের যোগদানে আইএসএলে এবার প্রতিযোগীতা আরও বেশি। বার্মিংহ্যাম সিটি থেকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা কঙ্গোর জ্যাক ম্যাঘোমা তো বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মেজর লিগ সকার হয়ে ওঠার যাবতীয় রসদ রয়েছে আইএসএলের। কিন্তু চলতি মরশুমে আইএসএলে রেফারিং’য়ের মানকে দেশের টপ টিয়ার ফুটবল লিগের খেলার মানের সঙ্গে কোনওভাবেই একইমেরুতে রাখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই রেফারির একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল, জামশেদপুর সহ প্রায় সমস্ত ক্লাব।

ইস্টবেঙ্গল তো ফেডারেশনে অভিযোগ জানাতেও পিছপা হয়নি। আর গোয়ার বিরুদ্ধে জামশেদপুরের নায্য গোল অন্যায়ভাবে লাইন্সম্যানের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ায় ‘ভার’ প্রযুক্তির দাবু জোরালো হয় আইএসএলে। কিন্তু ব্যয়বহুল সেই প্রযুক্তি সহজে আইএসএলে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাছাড়া ‘ভার’ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হতে রেফারিদেরও বিশেষ ট্রেনিং’য়ের প্রয়োজন। সুতরাং চলতি মরশুমে ভার প্রযুক্তি রাতারাতি আইএসএলে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু কিছু একটা করতেই হত উদ্যোক্তাদের। শেষ অবধি আসরে নেমে বিভিন্ন দলের কোচ এবং এআইএফএফ’র প্রতিনিধি ও রেফারিদের মধ্যে সেতুবন্ধন করার উদ্যোগ নিল আইএসএল।

যে উদ্যোগের নামকরণ করা হয়েছে ওপেন কমিউনিকেশন ফোরাম। এই ফোরামে ম্যাচ শেষে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে ভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারবেন কোচেরা। প্রয়োজনে অভাব-অভিযোগও দায়ের করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই ফোরামে থাকবেন প্রোফেশনাল গেম ম্যাচ অফিসিয়ালস লিমিটেডের (PGMOL) প্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, প্রিমিয়র লিগে ম্যাচ অফিসিয়ালদের পরিচালনা করে PGMOL। আইএসএল এবং এআইএফএফ’র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই সংস্থার প্রতিনিধিরা ওপেন ফোরামে তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেবেন।

এব্যাপারে বৃহস্পতিবারই একটি বৈঠক হয়েছে, যা ফলপ্রসূ। এই ওপেন ফোরাম কমিউনিকেশন কেবল যে অভিযোগের জন্যই তৈরি হতে চলেছে তাও নয়। এই ফোরামের উদ্দেশ্য ম্যাচ শেষে দলের কোচেদের সঙ্গে এআইএফএফ নিযুক্ত রেফারিদের গঠনমূলক আলোচনা। একইসঙ্গে অফিসিয়ালদের মানোয়ন্নয়ণ ঘটানো। উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ আইএসএলের জন্য এআইএফএফ ১২ জন রেফারির সঙ্গে ১৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিকে নিযুক্ত করেছে। অ্যাডলে কোস্তা এবং রমেশ বাবুকে পরের দিকে ওই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় রেফারিদের কোচ হিসেবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।