ম্যাঞ্চেস্টার: ক্রিসমাসে দুঃসংবাদ বয়ে এল পেপ গুয়ার্দিওলার সংসারে। করোনা আক্রান্ত হলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির দুই তারকা ফুটবলার গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং কাইল ওয়াকার। দুই ফুটবলার ছাড়াও দু’জন সাপোর্ট স্টাফও মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ম্যাঞ্চেস্টারের ক্লাবটির তরফে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার কাবারো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিরুদ্ধে মাঠে ছিলেন করোনা আক্রান্ত সিটির দুই ফুটবলারই। আর্সেনালকে ৪-১ হারানো সেই ম্যাচে দলের হয়ে প্রথম গোলটি এসেছিল ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জেসুসের পা থেকেইi। ওয়াকার যদিও পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন। তবে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বক্সিং-ডে’তে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রিমিয়র লিগের লড়াইয়ে নামা হচ্ছে না দু’জনের। শুধু বক্সিং-ডে’ই নয়, সামনে স্কাই ব্লুজ’দের ব্যস্ত শিডিউলের একাধিক ম্যাচে এই দু’জনকে না পাওয়া গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
২৬ জানুয়ারি নিউক্যাসল ম্যাচের পর আগামী ৩ জানুয়ারি চেলসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে গুয়ার্দিওলার ছেলেরা। এরপর ৬ জানুয়ারি ইএফএল কাপের সেমিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিটি দুই ফুটবলার সহ চারজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে অনুরাগীদের জ্ঞাত করে। তারা জানায়, ‘চারজনকে আপাতত প্রিমিয়র লিগ এবং যুক্তরাজ্য সরকারের কোয়ারেন্টাইন প্রোটোকল মেনে সেলফ-আইসোলেশনে রাখা হবে। ক্লাবের প্রত্যেকে তাদের সহকর্মীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে। যাতে তারা শীঘ্রই অনুশীলনে এবং প্রতিযোগীতায় নামতে পারে।’
উল্লেখ্য, সার্জিও আগুয়েরো হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর সেরা ছন্দে ফিরতে সময় চেয়ে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় আকাশী ম্যাঞ্চেস্টারের আপফ্রন্টে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বছরের শুরুতে ব্যস্ত সূচির আগে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় দলের কাছে। একইভাবে রক্ষণে কাইল ওয়াকারের অনুপস্থিতিও চিন্তার কারণ গুয়ার্দিওলার কাছে। আপাতত প্রিমিয়র লিগ শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে আট পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে সিটি। লিগ টেবিলে তারা অষ্টমস্থানে।
যদিও রেডস’দের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা। ১৩ ম্যাচে ম্যান সিটির সংগ্রহে ২৩ পয়েন্ট। একই ম্যাচ খেলে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে যদিও তিন নম্বরে সিটির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যান ইউ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.