নয়াদিল্লিঃ কৃষকদের বড়দিনের উপহার প্রধানমন্ত্রীর। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ২০০০ টাকা! আজ শুক্রবারই মোদী এক ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। ওডিশা, অরুণাচল সহ দেশের একাধিক রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী।
আলোচনার শুরুতেই তিনি ঘোষণা করেন, দেশের ৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবে ২০০০ টাকা। এই প্রকল্পে সরকারের প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। বৈঠকে উঠে আসে সেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমল থেকেই বিজেপি কৃষিতে জোর দিয়ে আসছে।
মোদী সরকারও কৃষকদের কথা ভাবে। এমনটাই বলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী জানান, একদল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ফসলের চুক্তির সঙ্গে জমি নিয়েও চুক্তি হয়ে যাচ্ছে এবং কৃষকেরা একসসময়ে তাঁদের জমি হারিয়ে ফেলবেন, সেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মোদীর বার্তা, ‘কৃষকদের উল্টোপাল্টা বোঝাবেন না। এই সব দল ও আগের সরকারের জন্য কৃষিতে উন্নতি হয়নি। গরিব কৃষক এদের জন্য আরও গরিব হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী মনে করিয়ে দেন, ‘২০১৪ থেকে আমরা নতুন রণকৌশল নিয়ে কাজ করছি। যৎসামান্য প্রিমিয়ামে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমার সুবিধা চাষিদের। ৮৭ হাজার কোটি টাকা বিমার থেকে পেয়েছেন চাষিরা।’
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার কথা আগেই বলা হয়েছিল। ফসল বেচার জন্য আজ কৃষকরা বিকল্প মান্ডি পাচ্ছেন। অনলাইনে ফসল বেচতে শুরুও করেছেন কৃষকরা।’
মোদী আরও বলেন, ‘আজ কৃষকরা পেয়েছেন পাকা ঘর, শৌচালয়। দিনে ৯০ পয়সায় ৬০ বছরে মিলবে ৩ হাজারের মাসিক পেনশন। ছোট কৃষকরা আরও সহজে ব্যাঙ্ক থেকে পাচ্ছেন ঋণ। নিজেদের ফসল যেখানে খুশি বেচতে পারেন চাষিরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেও আপনারা নিজের ফসল বেচতে পারেন।’
মোদীর প্রশ্ন, ‘এত অধিকার পাচ্ছেন কৃষকরা, এতে অন্যায় কি আছে? কেউ বলছেন এমএসপি থাকবে না, কেউ বলছেন মান্ডি বন্ধ হবে। নতুন আইনে কৃষকদের কোনও জরিমানা দিতে হবে না। চুক্তি অনুযায়ী কৃষককে টাকা দিতে বাধ্য থাকবেন চুক্তিকারীরা।’
মোদী বলেন, ‘ সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন হয় ভারতে। সেখানে তো ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই আছেন, অসুবিধা হয়েছে? পোলট্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও তো, যেখানে খুশি বেচেন। বলেন, কৃষি ক্ষেত্রেও আমরা সেটাই চাই। কৃষি আন্দোলনের আড়ালে কেন অন্য আন্দোলনে উস্কানি? কেন হাইওয়েতে টোল আদায়ের বিরোধিতা।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.