স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসে এক মঞ্চে। তাও এই বিধানসভা ভোটের গরম বাজারে। চমক বটে। তবে সত্যিও, কোনও গল্প নয়। শুধু মানুষের রাজনীতির নেতা নেত্রীদের আকারে নয় এই সহাবস্থান কেকের আকারে।

বাঙালীর বড়দিন। সব উৎসবকে নিজের মতো করে আপন করে বাঙালি বরাবরই সেরা। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে একটু অন্যভাবে। বাগুইহাটির অশ্বিনীনগরের এক শীতের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার নানা স্টলের মতোই একটি কেকের স্টল সাজানো হয়েছে। পোশাকি নাম পলিটিক্যাল কেক। সেখানেই তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসে সবাই এক মঞ্চে অবস্থান করছে। দাম আড়াইশো টাকা।

সম্প্রতি কৃষকের ফসল দিয়ে মোদীর মূর্তি বানিয়ে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল এই শহরের বুক থেকে। মেলায় চাষিরা সব্জি বেচলেন বাজারের হাফ দামে। সঙ্গে ছিল ইমিউনিটি ঘি, মিষ্টি, পিঠে। উদ্যোগে ছিল বাগুইহাটির অশ্বিনী নগর বন্ধুমহল ক্লাবই। ওইদিন এক্কেবারে ঢাক ঢোল বাজিয়ে কৃষি বিলের প্রতীকী প্রতিবাদ হল শহর থেকে। সঙ্গে রইল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানারকম জিনিস। সেখানে শাড়ি থেকে ঘর সাজানোর নানা জিনিস মিলছে। ছিল হরেকরকমের সাজ পোশাকের জিনিসপত্র। ছিল দশ টাকায় পনেরটা ফুচকার লোভনীয় খাবারও। তবে সব কিছুকে পেরিয়ে মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িইয়েছিল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ।

কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, ‘সরকার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে রাজি।’ আর পশ্চিমবঙ্গের সভা থেকে অমিত শাহ বলেছেন, তার বিশ্বাস, কৃষকরা দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের কাছে হাতজোড় করে আলোচনা বসতে অনুরোধ করেছিলেন।

তবে কৃষকরা বলছেন, মোদি সরকার যে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছে, তাতে লাভ হবে না। সরকার বৈঠকে যুক্তিনির্ভর আলোচনা করতে রাজি নয়। গতকাল এই আন্দোলনে আরও চাপে পড়েছে বিজেপি।।কারণ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির জোটসঙ্গী সাংসদ। বিজেপির জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দলের কনভেনর হনুমান বেনিওয়াল শনিবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কৃষক আন্দোলন ছাড়াও অন্যান্য জনমুখী ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি বল পদত্যাগ করেছেন বেনিওয়াল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।