উঠেছে না মান্ডি, থাকছে এমএসপিও! কৃষক আন্দোলনের এক মাসের মুখেই ফের নতুন ইঙ্গিত অমিতের
বড়দিনেই এক মাস পূর্ণ করল দিল্লি সীমান্তে চলা কৃষক আন্দোলন। এদিকে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা। নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরবেন না বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। এমতবসস্থায় এবার কৃষি আইন নিয়ে খানিক সুর নরম করতে দেখা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

বড়দিনেই একমাস পার করল দিল্লির কৃষি আন্দোলন
এদিকে ১ মাসের উপর চলা চলমান আন্দোলনের মাঝেই প্রায় ৫ বার আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু আজও বেরোয়নি কোনও রফা সূত্র। অন্যদিকে কৃষক সহ বিরোধীদের দাবি নয়া কৃষি আইনকে ঢাল করেই পুঁজিপতিদের হাত আরও শক্ত করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই তুলে দেওয়া হচ্ছে এমএসপিও। কিন্তু এদিন এই দাবিই কার্যত উড়িয়ে দিলেন শাহ।

কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা
অমিত শাহের স্পষ্ট বক্তব্য, কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। এর ফলে কোনও ভাবেই বেসরকারি সংস্থার হাত বা কর্রোরেট শক্তিগুলির হাত শক্ত হবে না বলেও দাবি করেন তিনি। একইসাথে কৃষজ পণ্যে আগের মতোই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি জারি থাকবে। তোলা হবে না মান্ডিও। কিন্তু অভিজিত বন্দোপাধ্যায়ের মতো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ সহ একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনকে কৃষক বিরোধী বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি এমএসপি যে উঠে যাবে না সেই বিষয়েও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি কেন্দ্রের তরফে।

অমিত শাহের মন্তব্যে বাড়চে বিতর্ক
এমতাবস্থায় অমিত শাহের মন্তব্যে যে বিশেষ চিঁড়ে ভিজবে না তা আর বলা অপেক্ষা রাখে না। এদিকে শুক্রবার দিল্লি সংলগ্ন একটি গ্রামে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখান থেকেই কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে সরাসরি নিশানা করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দিকে। এমনকী মান্ডি তুলে দেওয়া ও এমএসপি প্রত্যাহারের মতো বিষয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোরও অভিযোগ তোলেন তিনি।

কৃষি আইন নিয়ে মোদীর নিশানায় বিরোধীরা
যদিও দেশজোড়া আন্দোলনের মাঝেই যে সরকার তাদের অবস্থান থেকে এক বিন্দু নড়ছে না এদিন ফের স্পষ্ট করে দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগামীদিনে যে তাদের কৃষি আইন বাতিলের কোনও পরিকল্পনাই নেই তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দেন তিনি। পাশাপাশি শুক্রবার একটি ভার্চুয়াল ভাষণে কৃষি আইনের বিরোধিতা করার জন্য, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকেও।
তৃণমূল কতগুলি আসন পাবে একুশে, ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হলে রাজনীতি ছাড়বেন কেষ্ট