নয়াদিল্লি : একদিন কাশ্মীর দখল করবে পাকিস্তান। তারপরেই গোটা ভারত জুড়ে হামলা চালানো হবে। এমনই দাবি প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের। শোয়েবের একটি পুরোনো ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি টিভি চ্যানেলে পাক পেসারকে ইন্টারভিউ দিতে শোনা গিয়েছে। সেখানেই এই ধরণের বিতর্কিত কথা তুলে ধরেছেন শোয়েব।

এই ধরণের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শোয়েবের এই গজওয়া এ হিন্দ সম্পর্কে বক্তব্য শুনে অনেকেই বেশ ক্ষুব্ধ। একজন ক্রিকেটার হয়ে কি করে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন তিনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেছেন ভারত দখলের কাজ মুসলিমরাই করবে। উল্লেখ্য গজওয়া এ হিন্দের অর্থ ভারতের বিরুদ্ধে পবিত্র যুদ্ধ।

সেকথার উল্লেখ করে এই পাক পেসার বলেন বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বইতে এই যুদ্ধের কথা রয়েছে। ধর্মীয় আইনও তার সমর্থন করে। যদিও ইসলামিক বিদ্বানরা সেকথার গুরুত্ব দেন না বা এর বাস্তব ভিত্তি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন গজওয়া এ হিন্দ হবে। ভারতের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে নামবেন মুসলিমরা।

এই সাক্ষাতকারে শোয়েব জানান এই লড়াইয়ে রক্তবন্যা বইবে। অ্যাটকের নদী লাল রং ধারণ করবে।

আফগানিস্তান থেকে সেনা আসবে। শুরু হবে সিরিয়া থেকে, তারপর আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে মানুষ ধর্ম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে ভারত দখলের জন্য।’ সবার আগে পাক সেনাবাহিনীর কাশ্মীর দখল করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শোয়েব আখতারের এই দাবিকে হাস্যকর ছাড়া কিছুই মনে করছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ কিছুদিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে বলেছিলেন ভারত পাকিস্তানের ওপর ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত নিজে যেহেতু একাধিক অভ্যন্তরীণ সমস্যায় ভুগছে, তাই সেদিক থেকে নজর ঘোরাতে এই সার্জিকাল স্ট্রাইক চালাতে পারে ভারত।

পাক সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ কুরেশির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে কুরেশি বলেছেন পাক গোয়েন্দা সূত্রে খবর ভারত ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক চালাতে পারে। এজন্য নাকি ভারত নিজের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ভারতে চলা কৃষক বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে পাক বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন় মোদী সরকার বেশ চাপে রয়েছে। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই এই উদ্যোগ নিতে পারে ভারত সরকার বলে আশঙ্কা ছিল তাঁর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।