নয়াদিল্লি-কলকাতাঃ কৃষি বিল নিয়ে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। একমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই বিক্ষোভ। বারবার কেন্দ্রের তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও থামানো যায়নি কৃষক বিক্ষোভ।
এই পরিস্থিতিতে কৃষকের জন্যে কথা বলছেন। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠাচ্ছেন টাকা। যদিও বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির কারনেই কৃষকরাই বঞ্চিত! এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের পাল্টা দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, অর্ধসত্য বলছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথ্য বিকৃত করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,’১০ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে একমাত্র রাজ্য যেখানে ৭০ লক্ষ কৃষক প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধির টাকা পাননি।’
তার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য,’পিএম কিসান যোজনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটা অর্ধসত্য ও বিকৃত তথ্য। কৃষক স্বার্থে সবসময় আমি সহযোগিতার হাত বাড়াতে রাজি। দু’দিন আগে আমি নিজে দু’টি চিঠি দিয়েছি, এমনকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতার।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক লাভ তুলতে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বাংলায় একাধিক প্রকল্প রুপায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করেনি বলে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বকেয়া দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, ৮৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে ৮ হাজারক কোটি জিএসটির ভাগ। সত্যি রাজ্যকে সাহায্য করতে চাইলে অন্তত একটা অংশ দিক কেন্দ্র। রাজ্যের মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মমতার অভিমত,’জাতির জনকের আদর্শ মেনেই চলি আমি। রাজ্যের মানুষই আমার পরিবার। মানুষের উপর ভরসা আছে আমার। আমাদের ও রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। তার জবাব দেবে মানুষ। ‘
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.