মুম্বই: করোনা অতিমারী ভারতে হানা দেওয়ার পর যে কটি জায়গাকে মূল হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তার মধ্যে ধারাভি অন্যতম। মুম্বইয়ের এই বস্তিতে একের পর এক রঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ ভাইরাস। দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর হয় প্রশাসন।
পরবর্তীকালে যেভাবে ধারাভিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে, তার প্রশংসা করে খোদ ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’ এবার সেই কার্যত নজির স্থাপন করে সেই ধারাভি হল করোনা-মুক্তি। অতিমারীর শুরু হওয়ার পর প্রথমবার ধারাভিতে করোনা আক্রান্তের পরিমাণ শূন্য।
শুক্রবার ধারাভিতে একজনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। আর অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১২ -তে নেমে এসেছে।
এশিয়ার সবথেকে জনবহুল বস্তি হল ধারাভি। সেখানে বাসিন্দার সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ। ১ এপ্রিল এই ধারাভিতে প্রথমবার করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। জনঘনত্ব বেশি হওয়ায় সহজেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে ধারাভিকে কেন্দ্র করে।
তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে ধারাভিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে বাসিন্দারাও।
নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছে ১ কোটি ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৪৬ জন। এছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯২ জনের। মোট সংক্রমণের মধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৯১৯ জন।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৩৪ জন। এরমধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৪ হাজার ৬৬১ জন।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে না মাস্ক। এমনই দাবি একদল বিশেষজ্ঞের। শুধু মাস্ক পরলে কখনোই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না বলে দাবি তাঁদের। গবেষকরা পাঁচ ধরণের মাস্কের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন। তাঁরা বলছেন কোনও ধরণের মাস্কই যথেষ্ট নয়, যদি না সামাজিক দূরত্ব থাকে। কোনও ব্যক্তি হাঁচি দিলে বা কাশলে শুধু মাস্কে সংক্রমণ আটকাবে না। এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক দূরত্ব। কমপক্ষে ৬ফুট দূরত্ব থাকা বাঞ্ছনীয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.