দার্জিলিং: চকবাজারের জনসভা থেকে বড়দিনের জন্য হার্দিক শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবল আস্ফালনে বিমল গুরুংয়ের হুঁশিয়ারি ছিল, দু সপ্তাহের মধ্যে সব বুঝে নেব। বড়দিনের উৎসবের মাঝেই পাহাড়ের প্রায় সর্বত্র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) গুরুং শিবিরের প্রভাব চমকপ্রদ।
রাজ্য সরকারের পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ বিমল গুরুং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দার্জিলিং প্রবেশের পরেই ‘গোজমুমো’ রাজনীতির ঘনঘটা শুরু হয়েছে।
গুরুং বিরোধী শিবিরের গোর্খা নেতা বিনয় তামাং তৈরি হচ্ছেন রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রমাণে। সূত্রের খবর, শনিবার সমর্থক বাহিনি নিয়ে তামাং খোদ পদযাত্রা করবেন দার্জিলিং পর্যন্ত। এটি তাঁদের চোখে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। সোনাদা রেল স্টেশন থেকে ঘুম হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত এই পদযাত্রা হবে।
গোজমুমো রাজনীতির গুরুং ও তামাং শিবিরের দ্বন্দ্ব ঘিরে বড়দিনের উৎসব আমেজেও ঝঞ্ঝাটের মেঘ দেখতে পাচ্ছেন জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা। যে কোনও পরিস্থিতিতে দুই শিবিরের সংঘর্ষ ঘটা স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই পার্বত্য জেলার গোর্খা আবেগ টানতে মরিয়া শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। আর উঠতি বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি তৈরি। যে বিমল গুরুং কে নির্ভর করে দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রবেশ করেছিল তাদের ছত্রছায়া ছেড়েছেন গোর্খা নেতা। আপাতত গুরুং ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায়।
একাধিক হামলা ও সশস্ত্র হামলায় জড়িত গুরুং যখন বিজেপি আশ্রয়ে ছিলেন তখন গোজমুমো নেতা হিসেবে বিনয় তামাং উঠে আসেন তৃণমূল নেত্রীর ‘আশীর্বাদ’ পেয়ে।
পুরো সমীকরণ এখন উল্টে গিয়েছে। বিমল ফের মমতার লবিতে। আর বিনয় চলে গিয়েছেন বিজেপির ঘনিষ্ট বলয়ে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিমল গুরুং শিবিরের কর্মীর দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্যএলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গুরুংয়ের নামেই খোলা হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি কার্যালয়। গুরুংয়ের খাস এলাকা দার্জিলিংয়ের সিংমারি, পাতলেবাস তো আছেই দ্রুত মিরিক ও লেবং, বিজনবাড়িতে শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরিতে মগ্ন গুরুং।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.