শুভেন্দুর হাত ধরেই রং বদল কাঁথির! বিজেপিতে বাড়তে চলেছে অধিকারীদের সংখ্যা?
শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের এই প্রথম 'এতবড়' সভা অধিকারী পরিবারের খাসতালুক কাঁথির ডোরমোটারির মাঠে। বুধবারের সেই সভার নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ এরই মাঝে আবার কাঁথিতে সভা করার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে৷ বিজেপি সূত্রে খবর, সভার কেন্দ্রবিন্দু থাকবেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷

শিশির পুত্রের সভা ঘিরে সরগরম কাঁথি
কাঁথিতে তৃণমূলের পালটা বিজেপি নেতা তথা শিশির পুত্রের এই সভার ঘোষণা হওয়ার পরই সরগরম জেলা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট৷ আজ মূলত বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে এই জনসভা। সেখানেই যোগ দেবেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভএন্দু অধিকারী। এদিন বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৫ কিলোমিটারের ব়্যালির পর জনসভা হবে কাঁথিতে। কাঁথি মেচেদা মোড় থেকে দুপুর দুটো নাগাদ শুরু হবে পথ সভা। সেই মিছিল গিয়ে শেষ হবে কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড। সেখানেই হবে সভা।

সভাতে অনুপস্থিত অধিকারী পরিবারের সদস্যরা
এদিকে তৃণমূলের সভাতে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে অধিকারী পরিবারের অপর দুই সদস্যের অবস্থান বাড়িয়েছে জেলা রাজনীতির স্নায়ুচাপ৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য৷ এরপরই জেলা রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি শুভেন্দুর যোগ ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে অধিকারী পরিবারের? রং বদল হতে চলছে অধিকারীদের পরিবারের? এই প্রশ্নেই উত্তাল জেলা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট৷

কী বললেন শিশির-দিব্যেন্দু
শিশির অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'এই সভা নিয়ে আমার কিছু জানা নেই৷ আমি আমন্ত্রণ পত্র পাইনি। পেলেও আণার শরীর খারাপ। ভেবে দেখব।' যদিও দিব্যেন্দু অধিকারী সভায় উপস্থিত থাকার প্রশ্নে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দেন৷ বলেন, 'এই সভার(তৃণমূলের সভা) কোনও পোস্টারে দেখেছেন অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যের নাম?'

শিশিরকে আক্রমণ অখিল গিরির
উল্লেখ্য, বুধবার তৃণমূলের সভার পর শিশির অধিকারীকে সরাসরি আক্রমণ শানান রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। বুধবারের সভায় অধিকারীদের অনুপস্থিতি নিয়েপ্রশ্ন করা হলে বিধায়ক অখিল গিরি শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, 'শিশিরবাবুকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আমি আমার বিধায়ক প্যাড থেকে শিশির অধিকারীকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু শিশিরবাবু প্রোগ্রামে কেন অনুপস্থিত হলেন ওটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।' এরপরই তিনি বলেন, শিশিরবাবুর কার্যকলাপ দলের সংগঠনের পক্ষে নয়। তাঁকে দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হোক।