ঢাকা: কোভিড ১৯ হামলা রুখতে টিকা আবিস্কার ও বণ্টন নিয়ে স্বস্তি এসেছিল একটু। তবে স্বস্তির রেশ বেশিদিন রইল না। ইংল্যান্ডে পাওয়ানতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা ঢুকে পড়ল বাংলাদেশে। এর আগে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এই ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হয়। তারা লন্ডন থেকে এসেছিলেন।
বাংলাদেশে করোনার নতুন স্ট্রেন ঢুকে পড়ায় চিন্তিত শেখ হাসিনার সরকার। ইতিমধ্যেই কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজারের বেশি জনের। তবে মৃত্যুর নিরিখে বাংলাদেশ আর বাকি দেশগুলির তুলনায় স্বস্তিদায়ক অবস্থানে।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেন বাংলাদেশে চিহ্নিত হয়েছে। এটির সঙ্গে ইংল্যান্ডে পাওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সাদৃশ্য রয়েছে।
বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে পাঁচটিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের এই স্ট্রেন শনাক্ত করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান জানান, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের নতুন যে একটি স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, সেটি আগের স্ট্রেইনটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায় বলে জানানো হয়েছে।
সেলিম খান বলেন, ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশে পাওয়া নতুন করোনাভাইরাসের মিউটেশনের পজিশন এক। সেটাই শঙ্কার বিষয়।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানান। এরপর থেকে গোটা বিশ্বেই করোনাভাইরাসের নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অবশ্য নতুন ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস ৭০ ভাগ দ্রুতগতিতে বিস্তার ঘটাচ্ছে। ভাইরাসটির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে বাজারে থাকা শীর্ষস্থানীয় টিকা প্রস্তুতকারকরা বলেছেন, করোনার নতুন ধরনের ওপরও তাদের টিকা কার্যকর হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.