২০০ বছর ধরে শীতকালেই দুর্গাপুজো হয় জলপাইগুড়ির পণ্ডিত বাড়িতে
শীতকালেই দুর্গাপুজো হয় জলপাইগুড়িতে। ২০০ বছর ধরে এভাবেই পুজো হয়ে আসছে জলপাইগুড়ির এই পন্ডিত বাড়িতে। এবছরেও করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে কোভিট নিয়ম মেনে দুর্গা পূজোয় মেতে উঠেছে জলপাইগুড়ি পন্ডিত বাড়ি।

জানা গিয়েছে, মূলত পুরোহিত - যজমান সম্পর্ক সুদঢ় করতে বাংলাদেশ থেকে গত তিন পুরুষ ধরে মা কাত্যায়নীকে দুর্গোৎসব বিধানে পুজো করে আসছে জলপাইগুড়ির এই পরিবার। পুজো উপলক্ষে ষষ্ঠী থেকেই আত্মীয়েরা আসা শুরু করে পন্ডিত বাড়িতে। কিন্তু করোনার প্রকোপে এবার হাতেগোনা কয়েকজন এসেছেন ভিন জেলা থেকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশর মানিকগঞ্জ গইলা গ্রাম থেকে আনা ভিটের মাটি দিয়ে গড়া মা কালীর থানে পঞ্চমী তিথিতে পাঁঠা বলি দিয়ে কালী পুজো করে শুরু হয় পুজোর কাজ। ষষ্ঠীর দিন মহা ধূমধামের সাথে প্রতিমা এনে বিল্বমূল দিয়ে মা দুর্গাকে আবাহন করে শুরু হয় পুজোর কাজ। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত কয়েকশ যজমান মানুষ পাত পেড়ে প্রসাদ খেতেন। এবারে করোনার কারণে প্যাকেট করে প্রসাদ বিলি করেছে ভট্টাচার্য বাড়ি।
এখানে চতুর্ভুজা এই প্রতিমা দশমীর পর বিসর্জন হয় না। প্রতিমা রাখা থাকে পন্ডিত বাড়ির নাটমন্দিরে। বছরভর দুবেলা ভোগ দিয়ে পুজো হয়।পন্ডিত বাড়ির বড়ছেলে বিপ্লব ভট্টাচার্য জানান, অন্তত ২০০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষেরা পুঁথি ঘেটে হেমন্তকালে চলা কাত্যায়নী ব্রতকে দুর্গোৎসব বিধানে পূজো করা শুরু হয়। সেই থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।
কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের কোর্টেই বল ঠেলল কেন্দ্র, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি প্রতিবাদীদের!