স্টাফ রিপোর্টার, জলপাইগুড়ি, মহিষাদল : বছর ঘুরলেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট। করোনা আবহে থমকে রয়েছে সব কিছুই। তার আগেই জেলায়-জেলায় ভাঙন অব্যাহত। এবার বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় এক হাজার কর্মী সমর্থক। দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে এরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। বুধবার সকালে এই দলবদলের ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে।

এদিন জলপাইগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার জলপাইগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১ হাজার বাসিন্দা বিজেপি ,সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদন করেন।

জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন এই যোগদান কর্মসূচি হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করলা নদীর ধারে এদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন যুব তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা।

অন্যদিকে গত দশ বছরে রাজ্য সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারন মানুষের উন্নয়নে কি কি কাজ করেছে তা তুলে ধরতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে” বঙ্গধ্বনি” কর্মসূচীর মাধ্যমে তা তুলে ধরার কাজ চলছে। সেই কর্মসূচিতে প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে যোগদান করে চলেছে শয়ে শয়ে মানুষ।

বুধবার মহিষাদল ব্লকের লক্ষ্যা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের এলাকায় “বঙ্গধ্বনি” কর্মসচিতে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুরজিত মান্না,উত্তম কুমার মান্না, স্বপন কুমার মান্না সহ শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তিলক কুমার চক্রবর্তীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন।

এদিন ব্লক সভাপতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলী দাস, লক্ষ্যা- ২ অঞ্চল সভাপতি ছবিলাল মাইতি, লক্ষ্যা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সীমা মাইতি, উপপ্রধান সুদর্শন মাইতি সহ অন্যান্যরা।

অন্যদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আগামী ২০২১ বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসছেই। মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূল কি? উন্নয়নের নামে ক্লাবকে টাকা, উৎসব চলেছে। বাংলার মানুষ ফের একবার বদল চায় বলে দাবি বিজেপির। আর সেই কারণে এবার আর তৃণমূল নয়, বিজেপিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। মোদীর নেতৃত্বে বাংলার উন্নতি দেখতে চায় মানুষ। কর্মসংস্থান থেকে শিল্প, মোদীর সবকা সাথ সবকা বিকাশেই সম্ভব বলে মনে করে বিজেপি নেতৃত্ব।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।