সুভাষ বৈদ্য, কলকাতা: সামনেই ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, বর্ষ বরণের রাত৷ ইতিমধ্যেই পার্কস্ট্রিটসহ শহর কলকাতা আলোয় সেজে উঠেছে৷ কিন্তু তিন বছর আগে এই দিনটিতে রশ্মিতার সহকর্মীদের কাছে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া৷
বর্ষ বরণের রাত আসলেই মনে পড়ে ২০১৭-র ৩১ ডিসেম্বরের রাত৷ সেদিন সহকর্মী রস্মিতা গুপ্ত পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে৷ এই খবরে যেন মূহুর্তে নিবে গেল সব আলো, সব রশ্মি৷ না তখনও পার্কস্ট্রিটসহ সব জায়গায় আলো জ্বলছে, আনন্দে মেতে রয়েছে উৎসব মুখর মানুষ৷ ওই উৎসবে সামিল হয়েছিলাম আমরাও। কিন্তু দিল্লির এইমস থেকে আসা একটা খবরে হারিয়ে গিয়েছিল সব আলো, সব রশ্মি৷
প্রাক্তন সহকর্মী রশ্মিতার লড়াইটা ছিল মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে৷ একবার সেই মারণ রোগকে জয় করে মনের জোড়ে ফের মিডিয়ার কাজে যোগ দিয়েছিল৷ ওকে অফিসে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম৷ কিন্তু ওর হাসি বুঝিয়ে দিয়েছিল,কতটা মনের জোড় থাকলে ফিরে আসা যায়৷
কিন্তু কিছুদিন পর ফের শরীরে মারণ রোগ বাসা বাধে৷ অন্যদিকে তখন রস্মিতা আর আমার আর এক সহকর্মী জয়ন্ত বেরা নতুন স্বপ্ন দেখছে৷ সব জেনেও রস্মিতার পাশে ছিল জয়ন্ত৷ মারণ রোগ ক্যান্সারের ঊর্ধ্বে ছিল রস্মিতা আর জয়ন্তের ভালোবাসা৷ শুরু হল তাদের নতুন জীবন৷ তারা স্বপ্নের ঘর বাধল৷ কিন্তু সেই স্বপ্নের ঘর একদিন তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে গেল৷
২০১৭ সালে রস্মিতা দিল্লির এইমসে শোয়ে তার মনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল পরিবারের কাছে৷ মেয়ের সেই শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে বুধবার ঠাকুরপুকুর সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটকে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দান করা হল বেশ কয়েকটি জীবনদায়ী যন্ত্র।
রশ্মিতার শেষ ইচ্ছে ছিল ব্লাড ক্যানসারের রোগীদের জন্য কিছু করার। ও পারেনি বিশেষ কিছু করতে কিন্তু ওর বাড়ির লোক ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে একটা ক্যানসার আইসোলেটেড কেবিন ওর নামেই তৈরি করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি সহ একটা কেবিন। Advanced stage রোগীরা থাকতে পারবেন।
আগামী পাঁচ বছর এই কেবিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রস্মিতার পরিবারের। রস্মিতা গুপ্ত এভাবেই বেঁচে থাক৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.