কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক। এদিন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দিল্লি থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিনের অনুষ্ঠানে থাকার আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। যদিও বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।

বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গুরুদেবই আমাদের স্বদেশী সমাজ গড়ার ভাবনার কথা বলেছিলেন। আশপাশের সামাজিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর সংকল্প গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। গুরুদেবের চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছি।’’

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশাপাশি এদিন বাংলার মহান বিপ্লবীদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শহিদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে প্রফুল্ল চাকি-সহ বহু বাঙালি বিপ্লবীর অনন্য সাধারণ কীর্তির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ‘‘দেশের সম্মান বাঁচাতে বাংলার বহু প্রজন্ম নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। বাংলার বীরদের আত্মত্যাগকে স্মরণে রেখে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এগোতে হবে।’’

তবে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সকালেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি নিয়ে একটি টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারো’’। এরই পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একশো বছর পূর্ণ হল। শিক্ষার এই মন্দিরটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ মানুষ তৈরির সর্বশ্রেষ্ঠ পরীক্ষা। আমাদের অবশ্যই এই মহান স্বপ্ন দর্শনটির দর্শন এবং দর্শন সংরক্ষণ করতে হবে।’’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে টুইটে একথা লিখলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে অনুষ্ঠানে থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।