বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ-পূর্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে মোদীর গলায় ফের আত্মনির্ভর ভারতের কথা উঠে এল। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গিই আত্মনির্ভর ভারতের আধার।’’
এরই পাশাপাশি এদিন নিজের ভাষণে রবি ঠাকুরের স্বদেশী-ভাবনার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লি থেকেই এদিন ভার্চুয়ালি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গুরুদেবই আমাদের স্বদেশী সমাজ গড়ার ভাবনার কথা বলেছিলেন। আশপাশের সামাজিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর সংকল্প গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। গুরুদেবের চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছি।’’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশাপাশি এদিন বাংলার মহান বিপ্লবীদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শহিদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে প্রফুল্ল চাকি-সহ বহু বাঙালি বিপ্লবীর অনন্য সাধারণ কীর্তির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ‘‘দেশের সম্মান বাঁচাতে বাংলার বহু প্রজন্ম নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। বাংলার বীরদের আত্মত্যাগকে স্মরণে রেখে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এগোতে হবে।’’
দিন কয়েক আগেই বঙ্গ-সফরে এসে বিশ্বভারতী ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপাচার্য-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। রবিতীর্থ-সহ বিশ্বভারতীর একাধিক চত্বর ঘুরে দেখেছেন অমিত শাহ। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট।
তার আগে বাঙালি মনের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না গেরুয়া-ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.