বিশ্বভারতীর শতবর্ষে মোদীর মুখে রবীন্দ্রনাথের গুজরাত যোগ! প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা ব্রাত্যর
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে এদিন ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi)। মোদীর কথায় উঠে আসে, রবীন্দ্রনাথের (rabindranath tagore) গুজরাত যোগের কথা। পাশাপাশি তিনি বহিরাগত কটাক্ষের জবাবও দেন। যা নিয়ে পাল্টা সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন জবাব দিতে তৃণমূল বেছে নিয়েছিল ব্রাত্য বসুকে (bratya basu)।

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথের সময়ে ঠাকুরবাড়ির গুজরাত যোগের কথা। গুজরাতের মেয়েকে ঘরে বধূ করার কথাও উল্লেখ করেন মোদী। অনেকেই বলছেন, যেভাবে বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধেছিল তৃণমূল, এদিন মোদী তারই জবাব দিলেন। সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী গুজরাতে গিয়ে দেখেছিলেন, সেখানকার মহিলারা কীভাবে কোন কাঁধে শাড়ির আঁচল দেন। পরবর্তী সময়ে বাংলার মানুষ তা অনুসরণ করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ক্ষুধিত পাষণের একটা অংশ গুজরাতে বসে লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, জ্ঞান যেন মুক্ত হয়। তিনি উল্লেখ করেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে মুক্ত জ্ঞানের কথাই বলা হয়েছে। তিনি বলেন কাউকে সঙ্গে না পেলে, একলা চলো রে..তে বিশ্বাস করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভুলের কথা উল্লেখ
মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে ব্রাত্য বসু প্রথমেই এদিন ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর ভুলের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছেন। মেজদাকে বলেছেন বড়দা। আর জ্ঞানদানন্দিনীর ভুল উচ্চারণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন ব্রাত্য বসু। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করলেন, কিন্তু সব থেকে পুরনো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করলেন না। প্রধানমন্ত্রীর মুখো শোনা যায়নি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাও। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ধর্মের নামে নরবলিতে বুদ্ধিরও বলি হয়। সারা দেশে পিটিয়ে মারার ঘটনার উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চান তিনি।

রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি
ব্রাত্য বসু বলেন, তারা রবীন্দ্রনাথকে বাংলার কবি বলে মনে করেন না। কেননা তিনি তো বিশ্বকবি। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী কেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গুজরাত যোগের কথা তুলে ধরতে চাইলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন ব্রাত্য বসু।

আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে
এদিন ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, যে রাজ্যে বিশ্বভারতী, সেই বিশ্বভারতীর ১০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান, কিন্তু সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এব্যাপারে তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কড়া সমালোচনা করেন।