নয়াদিল্লি: শীতকালে ভারতের কয়েকটি এলাকায় আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম হয়ে ওঠে। বিশেষত দক্ষিণ ভারতে এই সৌন্দর্য একেবারে আলাদা। তবে দেশে এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে শীতে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠোর আবহাওয়া। চরম ঠাণ্ডা বাতাস এবং ক্রমহ্রাসমান তাপমাত্রার কারণে ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় শীতে মানুষের টিকে থাকাই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। মূলত এই এলাকা হল উত্তর পূর্বের বরফে ঢাকা হিমালয় অঞ্চল।
কার্গিল: ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল, সেই উল্লেখ্যে কার্গিল সকল ভারতীয়ের কাছে এক চেনা নাম। কিন্তু এছাড়াও মারাত্মক ঠান্ডার জায়গা হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। ৩,৩২৫ মিটার উচ্চতার এই এলাকায় শীতে তাপমাত্রা মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি নেমে যায়।
লাদাখ: হিমালয় সীমার মধ্যে অবস্থিত লাদাখ ২০১৯ সালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে একটি নতুন পরিচয় পেয়েছিল। প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ এই জায়গায় তিব্বতি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। জানুয়ারি মাসে এখানে গড় তাপমাত্রা মাইনাস ১২ ডিগ্রিতে নেমে যায়। যখন ভারী তুষারপাত হয়, তখন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ এ নেমে যায়।
তাওয়াং : অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংও ভারতের শীতলতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শীতের মৌসুমে ভারী তুষারপাতের জেরে এটি অফবিট পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গণনা করা হয়। এটি ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক ঠান্ডা জায়গা। শীতের মৌসুমে এই স্থানের তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ সেলসিয়াসে নেমে যায়।
কীলং : হিমাচল প্রদেশের কীলং লেহ মেইন রোডের এই এলাকা প্রায় ৪০ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই জায়গার তাপমাত্রা মাইনাস ২ ডিগ্রিতে নেমে যায়। এই জায়গাটি মানালি, কাজা এবং লেহের মতো আরও অনেক পর্যটন স্পটের সঙ্গে যুক্ত।
মানালি: মানালি ভারতের একটি সুন্দর এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। গ্রীষ্মের দিনগুলিতে এই জায়গাটি গরম থাকে তবে শীত আসার সাথে সাথে এর তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রিতে নেমে যায়। যাদের পর্বতারোহণ, নদী র্যাফটিং এবং ট্রেকিংয়ের খুব আগ্রহ রয়েছে তারা এখানে যেতে পারেন।
সিয়াচেন: সিয়াচেনে এত ঠাণ্ডা পড়ে যে, তরল জুস ইটের মতো শক্ত হয়ে যায়। এমনকি টমেটো ও ডিমও জমে যায়। সেখানে মোতায়েন জওয়ানদের হাতুড়ি মেরে ডিম ফাটাতে হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.