কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গুজরাতের যোগ টানায় মোদীকে খোঁচা ব্রাত্য বসুর। এদিন বিশ্বভারতীয় ভার্চুয়াল সভায় ভাষণে বিশ্বকবির সঙ্গে গুজরাতের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন ‘কবিগুরুর ক্ষুধিত পাষাণের একাংশ গুজরাতে থাকাকালীন লেখা।’ মোদীর ভাষণের এই অংশটি নিয়েই সমালোচনায় সরব ব্রাত্য বসু।

বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তাঁর সম্পর্কে একের পর এক মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গিই আত্মনির্ভর ভারতের আধার।’’ এরই পাশাপাশি এদিন নিজের ভাষণে রবি ঠাকুরের স্বদেশী-ভাবনার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দিল্লি থেকেই এদিন ভার্চুয়ালি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গুরুদেবই আমাদের স্বদেশী সমাজ গড়ার ভাবনার কথা বলেছিলেন। আশপাশের সামাজিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর সংকল্প গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। গুরুদেবের চিন্তাধারাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা আত্মনির্ভরতার পথে এগোচ্ছি।’’

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাশাপাশি এদিন বাংলার মহান বিপ্লবীদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শহিদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে প্রফুল্ল চাকি-সহ বহু বাঙালি বিপ্লবীর অনন্য সাধারণ কীর্তির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ‘‘দেশের সম্মান বাঁচাতে বাংলার বহু প্রজন্ম নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন। বাংলার বীরদের আত্মত্যাগকে স্মরণে রেখে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এগোতে হবে।’’

এরই পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গুজরাতের গভীর যোগাযোগ ছিল বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নের্ন্দর মোদী।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কবিগুরুর ক্ষুধিত পাষাণের একাংশ গুজরাতে থাকাকালীন লেখা।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দলের হয়ে এদিন মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ব্রাত্য বসু।

তিনি এদিন বলেন, ‘‘আমরা তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলার কবি হিসেবে মনে করি না। উনি তো বিশ্বকবি। তাহলে প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে গুজরাতের যোগাযোগ স্থাপনে এত বেশি উৎসাহিত হয়ে পড়লেন?’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।