পানাজি: ছ’ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও জয় আসেনি টুর্নামেন্টে। প্রথম একাদশ সেট করে উঠতে পারেননি কোচ রবি ফাওলার। রোজ-রোজ ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েও অধরা রয়ে যাচ্ছে জয়। চোট-আঘাতে জর্জরিত স্কোয়াডে রিনো অ্যান্টো, রাজু গায়কোয়াড়দের মতো কিছু ফুটবলারকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে আইএসএলে যেখানে সর্বোচ্চ ৩৫ জন ফুটবলার রেজিষ্ট্রেশন করানো যেতে পারে, সেখানে নতুন ফুটবলারদের রেজিষ্ট্রেশন করানো হলে স্বদেশি-বিদেশি মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডের সংখ্যাটা ৩৫ ছাড়িয়ে যাবে। তাই জানুয়ারির আগে ২৫-২৮ জন ফুটবলারের একটা স্কোয়াড চাইছেন কোচ রবি ফাওলার।

সবমিলিয়ে নতুন বছরের আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা। চোট-আঘাতের কারণে ফিটনেসজনিত সমস্যা এবং পারফরম্যান্সের নিরিখে রবি ফাওলার তাঁর স্কোয়াড থেকে একাধিক ফুটবলার ছাঁটাই করতে চলেছেন। অর্থাৎ, নতুন বছরে লাল-হলুদে দেখা যাবে ফাওলারের বাছাই করা নয়া স্কোয়াড। কিন্তু পুরনো স্কোয়াড থেকে রেজিস্টার হওয়া এমন কিছু ফুটবলারের নাম বাতিলের তালিকায় রয়েছে যা অবাক করতে পারে সমর্থকদের।

যা খবর তাতে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাদ পড়তে চলেছেন বলবন্ত সিং, সিকে বিনিথ, ইউজেনসন লিংদো, অভিষেক আম্বেকর, রানা ঘরামি। ফিটনেস সমস্যার কারণে রিলিজ দেওয়া হতে পারে গুরতেজ সিংকে। সেক্ষেত্রে লালরামচুলোভা এবং লোকেন মিতেই অল্পসময়ের মধ্যে নিজেদের প্রমাণ না করতে পারলে কোপ পড়তে পারে তাদের উপরেও। তবে যে নামটিকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঢেউ সেটি হল সামাদ আলি মল্লিক। শোনা যাচ্ছে লোনে নাকি আইলিগের একটি ক্লাবে যেতে পারেন তিনি। তবে বঙ্গ এই রাইট-ব্যাকের বিষয়টি চূড়ান্ত নয় এখনও। কারণ স্কট নেভিলের যা পারফরম্যান্স তাতে সামাদ পরবর্তী সময়ে দলে সম্পদ হয়ে উঠতেই পারেন। কারণ তাঁর অতীত পারফরম্যান্স তাঁর হয়েই কথা বলে।

গুরতেজকে ছাড়া নিয়েও লাল-হলুদ সমর্থকদের চোখ কপালে। কিন্তু গুরতেজের পায়ের পেশিতে সমস্যা থাকায় এখনও তাঁর সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই হায়সরাবাদ এফসি’র প্রাক্তনীকে রিলিজ দিতে চাইছেন ফাওলার। এদিকে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু রিজার্ভ দলের সঙ্গে প্রস্তুরি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন রাজু গায়কোয়াড়, মিলন সিংরা। তারা স্কোয়াডে থাকবেন কীনা সময় বলবে। সবমিলিয়ে দু-একদিনের মধ্যে রিলিজ দিতে চাওয়া ফুটবলারদের তালিকা ম্যানেজমেন্টকে ধরিয়ে দেবেন ব্রিটিশ কোচ। এরপরই জানা যাবে গোটা বিষয়।

এদিকে খারাপ সময়ে কোচের সঙ্গে কথা বলতে শীঘ্রই গোয়া উড়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদের সিইও শিবাজি সমাদ্দার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।