স্টাফ রিপোর্টার, মালদহ : শুভেন্দু হীন তৃণমূল। গত শনিবারই শাহের হাত ধরে মেদিনীপুরের মঞ্চ থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে সাত জন বিধায়কের দলবদলে ভোটের মুখে কিছুটা হলেও তৃণমূলের অক্সিজেন কমেছে।

আর এই অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর আতঙ্কে রয়েছে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। আর যার জন্য তড়িঘড়ি কোর কমিটির মিটিং ডাকলেন রাজ্য সভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম বেনজির নুর।

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন মালদহের জেলা পর্যবেক্ষ ছিলেন। সেই কারনের জেলা তৃণমূলের অন্দরে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে দল পরিবর্তনে।

মঙ্গলবার কো কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন,অম্লান ভাদুড়ী সহ কোর কমিটির সদস্যরা। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারীর পথে কারা যাবেন? কোন কোন নেতার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগাযোগ রয়েছে। তা নিশ্চিত করতে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর।

মঙ্গলবার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় নুর ম্যানসনে এই বৈঠক হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তণ যুব সভাপতি বর্তমানে জেলার কো অর্ডিনেটরের অনেক নেতর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠতা সকলের যেমন জানা তেমনি জল্পনা শুরু হয়েছে এই মালদহ জেলার সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল সহ ৮জন বিধায়ক অথবা বিধায়ক পদ প্রার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।

তাই এই সকল নেতৃত্ব বা নেতাদের এই বৈঠকে তলব করা হয়েছে। বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিও থাকবে। থাকবে জেলা কমিটির নেতৃত্বরা।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৌসম নুর বলেন, “এমনিতেই আমাদের পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। যেহেতু একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উনি যেহেতু মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন সেই কারণে নেতা-নেত্রীদের সতর্ক থাকার জন্য একটা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। যে সমস্ত নেতা নেত্রীরা বিধায়করা রয়েছে তাদের কেউই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সব জায়গায় আমাদের পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বলব দল আরও মজবুত হচ্ছে। সব কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই অঞ্চল কমিটির তালিকা আমাদের কাছে চলে এসেছে। খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে কোন বাধা নেই। দলকে বদনাম করার জন্য প্রপাগণ্ডা অর্থাৎ বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দল আছে দলের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি আছে তারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিছু ব্যক্তি আছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিছু ব্যক্তি আছে দলকে বিক্রি করে কোন টাকা নিয়ে কাজ করলে তারা দলে জায়গা পাবেনা।”

এই বিষয়ে জেলা বি জে পির সহসভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, “যারা তৃণমূল কংগ্রেসের দলে থেকে মাথা উঁচু করে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না তারা মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য আমাদের দলে এসেছেন। জেলার অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

ভবিষ্যতে তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না। কারণ তারা মানুষকে নিয়ে যেভাবে প্রতারণা করেছে কাটমানি নিয়েছে তাতে তাদের নিজেদের দলেরই ভরসা নেই অনেকের। সেই কারণে তাঁরা আগামীতে বিজেপি চলে আসবে সে বিষয়ে কোন প্রশ্ন নেই।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।