নয়াদিল্লি: দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে (ডিডিসিএ) স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে সদস্য পদ ছাড়লেন বিষেণ সিং বেদী৷ ফিরোজ শাহ কোটলায় অরুণ জেটলির মূর্তি বসানোর প্রতিবাদে স্টেডিয়ামের দর্শক স্ট্যান্ড থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নিতে বলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক৷
দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার মাঠে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা ডিডিসিএ প্রেসিডেন্ট প্রয়াত অরুণ জেটলির মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন৷ এরই প্রতিবাদ জানিয়ে ডিডিসিএ-র সদস্যপদ ছেড়েছেন কিংবদন্তি এই স্পিনার। পাশাপাশি কোটলায় তাঁর নামে যে স্ট্যান্ড রয়েছে, তা সরিয়ে নিতে বলেছেন বেদী৷ ২০১৭ সালে কোটলায় তাঁর নামে দর্শক স্ট্যান্ড করা হয়৷
ডিডিসিএ-তে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, এখানে ক্রিকেটারদের থেকে প্রশাসকদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়৷ এই মর্মে ডিডিসিএ-র প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলিকে (প্রয়াত অরুণ জেটলির পুত্র) চিঠি দিয়ে ফিরোজ শাহ কোটলার দর্শক স্ট্যান্ড থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নিতে বলেন বেদী।
১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ বছর ডিডিসিএ-র প্রেসিডেন্ট ছিলেন অরুণ জেটলি৷ রাজনীতিতে বেশি সময় দিতে ক্রিকেট প্রশাসকের পদ ছেড়েছিলেন তিনি৷ গত বছর অগস্টে জেটলির মারা যান৷ তারপরই জেটলির স্মৃতিতে কোটলায় ৬ ফুটের একটি মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিডিসিএ৷
ভারতের হয়ে টেস্টে ২৬৬টি উইকেটের মালিক বেদী বলেন, ‘লর্ডসে ডব্লিউজি গ্রেসের মূর্তি, এসসিজি-তে ডন ব্র্যাডম্যানের, এমসিজিতে শেন ওয়ার্ন, ওভালে জ্যাক হবস এবং বার্বেডোজে গ্যারি সোবার্সের মূর্তি রয়েছে৷ কিন্তু এখানে ক্রিকেট প্রশাসকদের এ সব মনে করিয়ে দেওয়ার লোক নেই।’
প্রাক্তন এই স্পিনারের আরও অভিযোগ, ডিডিসিএ কর্তারা ক্রিকেটের সংস্কৃতিটাই বোঝে না। তিনি বলেন, ‘এমন জায়গাতে আমি থাকতে চাই না। এই রকম একটা স্টেডিয়ামে আমার নাম থাকুক সেটাও চাই না। যারা ক্রিকেটারদের সম্মান দিতেই জানে না। দয়া করে স্ট্যান্ড থেকে আমার নাম যেন সরিয়ে দেওয়া হয়।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.