নয়াদিল্লি: শিশু ও নাবালকদের এখনই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী-সহ দেশের ৩০ কোটি মানুষকে দেওয়ার ব্যাপারে তৎপরতা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে টিকাকরণের প্রস্তুতি চলছে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত টিকা প্রস্তুতকারী কোনও সংস্থাই করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শিশু ও ১৮ বছরের নীচের কারও উপর প্রয়োগ করেনি। সেই কারণেই শিশু ও ১৮ বছরের নীচের কাউকে এখনই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র সংস্থা করোনা টিকার ট্রায়াল চালাচ্ছে নাবালকদের উপর। তবে সেই সংস্থার টিকার কার্যকারিতা বা সেই ট্রায়াল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এই অবস্থায় আপদকালীন সংকটের জন্য অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে চলেছে ভারত। আগামী সপ্তাহেই এই ছাড়পত্র মিলতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
গোটা বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে পারে। তবে তা জরুরি অবস্থার জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পিফিজার আইএনসির ভ্যাকসিন, যার দেশীয় নির্মাতা ভারত বায়োটেক। কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক।
এই সংস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে কাজ করছে আইসিএমআর। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন বেশ কার্যকরী ফল দিচ্ছে ট্রায়ালে। ফলে এই ভ্যাকসিনের উপযোগিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী তাঁরা।
অন্যদিকে, দেশজুড়ে করোনার চোখ রাঙানি এখনও জারি রয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে বুধবার পর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩০৮। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৭৬।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.