কলকাতা: ‘বহিরাগত’ তত্ত্বে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। ‘‘মাদার টেরেসা, ভগিনী নিবেদিতাও বিদেশ থেকে এসেছিলেন। তাঁদের আপন করে নিলেন। গুজরাত থেকে কেউ বাংলায় এলেই তাঁরা বহিরাত?’। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। প্রতিদিন শাসক-বিরোধী সব পক্ষ একে অপরকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ করে ময়দানে নেমেছেন। একদিকে, তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে রাজ্য দখলে মরিয়া বিজেপি।
অন্যদিকে, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে আবারও মসনদে থাকতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের মতো করে সংগঠন মজবুত করার কাজ চালাচ্ছে বাম-কংগ্রেসও। রাজনীতির লড়াইয়ের মঞ্চে শাসক-বিরোধী কোনও পক্ষই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ।
একুশের ভোটে টার্গেট বাংলা। বিহারে আগেই সাফল্য এসেছে। এবার নজর বাংলায়। ইতিমধ্যেই রাজ্য ঘুরে গিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলায়-জেলায় সফর করে সাংগঠনিক বৈঠক সেরেছেন বিজেপি নেতারা। পরে দিল্লি গিয়ে বাংলার জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক শক্তির রিপোর্ট তাঁরা দিয়েছেন মোদী-শাহ-নাড্ডাদের। সেই মতো বাংলা দখলে প্ল্যান সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
বাইরের রাজ্য থেকে বিজেপি নেতারা রাজ্যে এলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর দলের অনেক নেতাই তাঁদের ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দাগছেন। বহিরাগতদের রাজ্যে এনে বিজেপি ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপি বাংলাকে গুজরাত বানাতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই।
এবার তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার কলকাতার নিমতলায় দলের কর্মসূচি চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ‘‘মাদার টেরেসা, ভগিনী নিবেদিতাও বিদেশ থেকে এসেছিলেন। তাঁদের আপন করে নিলেন। গুজরাত থেকে কেউ বাংলায় এলেই তাঁরা বহিরাত?’’।
এরই পাশাপাশি এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন তৃণমূলনেত্রী। বাংলায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.