কলকাতা: ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ পিকে-র। সোমবারই টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন বিধানসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যা দু’অঙ্ক পেরোলে তিনি কাজ ছেড়ে দেবেন। বুধবার ফের টুই পিকে-র।
বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপি বাংলার ভোটে একশোর বেশি আসন পেলে আমি কাজ ছাড়ব বলেছিলাম। এখনও বলছি বিজেপি একশোর কম আসন পাবে।’’ বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে টুইটে পিকে আরও লিখেছেন, ‘‘সাহস থাকলে আপনারাও বলুন, ২০০ আসন না পেলে পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’’
বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একদিকে জনসমর্থন বাড়ানোর লক্ষ্যে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। জেলায়-জেলায় প্রচার চালাচ্ছেন শাসক-বিরোধী দলের নেতারা। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই জারি। সোমবার সকালেই তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টুইট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
প্রশান্ত কিশোর সোমবার টুইটে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পক্ষে দুই অঙ্কের আসন সংখ্যা অতিক্রম করতেই যথেষ্ট লড়াই করতে হবে। দয়া করে এই টুইটটি সংরক্ষণ করুন। বিজেপি আরও ভালো কিছু করতে পারলে আমাকে অবশ্যই এই স্থানটি ছেড়ে দিতে হবে!’’ পিকে-র এই টুইট নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, অমিত শাহ রাজ্য ঘুরে যাওয়ার পর তৃণমূলের ভোটকুশলীর এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এরপর পাল্টা প্রশান্ত কিশোরকে বিঁধে মাঠে নামে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার কাটোয়া পুরসভার সামনে দলের কর্মসূচি ‘চায়ে পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।। সেখান থেকেই পিকে-কে তুলোধনা করেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে বিজেপির আসন সংখ্যার অঙ্ক যতই হোক, প্রশান্ত কিশোরের চাকরি যাবেই। সেটা বুঝতে পেরে আগে থেকে গেয়ে রেখেছেন।’’
বিজেপিকে এবার ফের খোলা চ্যালেঞ্জ প্রশান্ত কিশোরের। পিকে-র সাফ কথা, ‘‘বিজেপি বাংলার ভোটে একশোর বেশি আসন পেলে আমি কাজ ছাড়ব বলেছিলাম। এখনও বলছি বিজেপি একশোর কম আসন পাবে।’’ বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে টুইটে পিকে আরও লিখেছেন, ‘‘সাহস থাকলে আপনারাও বলুন, ২০০ আসন না পেলে পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।’’
যদিও বিধানসভা ভোটের মুখে পিকে-কে নিয়ে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে দলের কাজ পরিচালনায় আদতে ক্ষতিই হচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বরিষ্ঠ নেতা।
ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে মন্তব্য করতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। যদিও এখনও প্রশান্ত কিশোরের ‘ক্ষুরধার’ মস্তিষ্কেই ভরসা রাখতে চান তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর স্ট্র্যাটেজিতেই একুশের লড়াইয়ে মাঠে তৃণমূল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.