রাজ্যে বিজেপি মাটি শক্ত করেছেন মমতা! দলের সংখ্যালঘু সেলের সমাবেশ থেকে বিস্ফোরক অধীর
রাজ্যে বিজেপির (bjp) বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( mamata banerjee) তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, রাজ্যে বিজেপিকে আসতে দেওয়ার ফল ভোগ করছে তৃণমূল (trinamool congress) ।

বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিলেন মমতা
কলকাতার রামলীলা ময়দানে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভায় অধীর চৌধুরী বলেন, একটা সময়ে বাংলার মাটিতে বিজেপির অস্তিত্ব ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপির সঙ্গে জোট করে বাংলায় তাদের মাটি শক্ত করতে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী। প্রসঙ্গত ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মের পরেই পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেছিলেন।

বাম ও কংগ্রেস ভাঙিয়েছেন মমতা
এদিন অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস যেমন বাম ও কংগ্রেসের প্রতি অত্যাচার করেছে, ছিক তেমনই দুই দল ভাঙিয়ে নিজেদের দলকে শক্ত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেছেন, বিজেপির জমি শক্ত করে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও বামেদের দল ভাঙিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সেই সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করা হয়েছিল, এর ফল ভাল হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই কাজে বাংলার ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী।

বিজেপির রাস্তায় তৃণমূল
অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন রাজ্যে বিজেপির রাস্তায় হেঁটেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে তিনি ইমাম ভাতার কথা উল্লেখ করেন। অধীর চৌধুরী বলেন, মুসলিমরা গরিব হতে পারেন কিন্তু তারা ভিখিরি নয়। তিনি বলেন, বিজেপি চায় সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ। সেটা যত হবে, ততই তাদের লাভ। রামের নামে এই দেশে রাবণের তাণ্ডব চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি এর পীরের দরগায় গিয়ে প্রার্থনী করেছেন, যাতে দেশে শান্তি বজায় থাকে।

বিজেপির থেকে নিস্তার নেই কোনও দলের
২০২১-এর ভোট যত এগিয়ে আসছে, দলবদলের তাগাদা যেন ততই বাড়ছে। প্রায় সবটাই হচ্ছে বিজেপির অনুকূলে। তাতে নিস্তার নেই কোনও দলের। তৃণমূলের থেকে বেশি ভাঙন হলেও, বাদ যাচ্ছে না বাম, কংগ্রেসও। শনিবার অমিত শাহের সভায় যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে যেমন তৃণমূলের বিধায়ক জন প্রতিনিধি ছিলেন, ছিলেন কংগ্রেস এবং বামেদের বিধায়করাও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূলের হাত ধরে যে বিজেপি রাজ্যে এসে শক্তি বাড়াচ্ছে, তার থেকে নিস্তার পাচ্ছে না কেউই।
শুভেন্দু পরবর্তী পর্যায়ে তৃণমূল শিবিরের ৫ নেতার নাম নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা! কোন সম্ভাবনা প্রবল