পানাজি: বৈধ গোল না দিয়ে বুধবার আইএসএলে জামশেদপুরকে নিশ্চিত পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করল রেফারি এবং লাইন্সম্যানরা। অ্যালেক্স লিমার শট ক্রসবারে লেগে গোললাইনের ভিতরে কয়েক ইঞ্চি প্রবেশ করলেও তা বেমালুম এড়িয়ে যায় লাইন্সম্যানের দৃষ্টি। এরপর সংযুক্তি সময়ে ইগর আঙ্গুলো গোয়ার হয়ে জয়সূচক গোলটি করলে তিন পয়েন্ট তো দূরে থাক, ম্যাচে থেকে এক পয়েন্টও পায়নি ওয়েন কয়েলের জমশেদপুর। যা শেষদিকে গিয়ে লিগ টেবিলে নির্ণায়ক হয়ে যেতে পারে।

ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই রেফারিং নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভালস্কিসদের কোচ। লাইন্সম্যান এবং রেফারিকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তিনি জানালেন, ‘এটা খুবই আঘাত পাওয়ার মতো ঘটনা কারণ আমাদের ডাকাতি করে ম্যাচটায় হারিয়ে দেওয়া হল। ১-১ অবস্থায় আমরা নিশ্চিতভাবে একটি গোল করেছিলাম। ক্রসবারে প্রতিহত হয়ে স্পষ্টভাবে বলটা গোললাইন ক্রস করেছিল। একরাশ হতাশাকে সঙ্গী করে কয়েল আরও বলেন, ‘ম্যাচটা এতটাই উচ্চমানের হয়েছে যেখানে এমন ঘটনা শোভা পায় না। আইএসএলে দুর্দান্ত সব দল, ভালোমানের কোচ আর এদিকে আমরা রোজ-রোজ খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হচ্ছি।

ওটা একটা নিশ্চিত গোল। ছেলেরা ম্যাচে যা তাগিদ দেখিয়েছে তারপর এই ফলাফল মেনে নেওয়াটা খুব কঠিন। কিন্তু আমাদের নিজেদেরই টেনে তুলতে হবে এবং এগিয়ে যেতে অবে।’ আইএসএলের মতো লিগে এমন রেফারিংকে মান্যতা দেওয়া উচিৎ নয় বলেই মনে করছেন ব্রিটিশ কোচ। কয়েল জানাচ্ছেন আইএসএলের মতো একটা উঁচু স্তরের লিগে রেফারিদের মানও ভালো হওয়া দরকার।

কয়েলের মতে, ‘আমরা সবসময় নিজেদের চাঙ্গা রাখি। কিন্তু একটা ম্যাচে সমস্ত উজাড় করে দিয়েও যখন একপ্রকার ডাকাতি করে ম্যাচে তাদের থেকে পয়েন্ট কেড়ে নেওয়া হয়, তখন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি আবার বলব আজকের এই ফলাফল আমাদের পারফরম্যান্সের কারণ নয়। আমরা নায্য একটা গোল পেয়ে ম্যাচে ২-১ এগিয়ে যেতে পারতাম। তবু এরপরেও আমরা নিজেদের টেনে তুলব।’

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে সেটপিস থেকে স্টিফেন এজের গোলে এগিয়ে যায় জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে প্রথমে ম্যাচে সমতা ফেরান ইগর আঙ্গুলো। এরপর সংযুক্তি সময়ে কর্নার থেকে গোয়ার হয়েও জয়সূচক গোলটি করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আঙ্গুলো।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।