শুভেন্দুর পর বিজেপির টার্গেটে কে! অমিতের আসন্ন সফরের স্থান-নির্ধারণে জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘ টালবাহানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন পদ্মশিবিরে। মেদিনীপুরের সভায় তিনি অমিত শাহের হাত থেকে পতাকা তুলে নিয়েছেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে এবার কে বিজেপির টার্গেট। এরই মধ্যে স্থির হয়ে গিয়েছে অমিত শাহের আগামী বঙ্গ সফরের দিনক্ষণ। সেই সফরের মধ্যেই কি আরও এক হেভিওয়েটের উইকেট পড়তে চলেছে? জল্পনা চলছে।

বিদ্রোহের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছেই তৃণমূল কংগ্রেসে
সম্প্রতি অমিত শাহের সফরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের আরও ৬ জন বিধায়ক, একজন সা্ংসদ ও প্রাক্তন বর্তমান করে আরও অনেক জনপ্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তারপর থেকেই গোটা বাংলায় আর কারা বিক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী তাঁদের দলে রাখতে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল। কিন্তু বিদ্রোহের সেই আগুন ধিকিধিকি জ্বলছেই।

রাজীবের ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিতি নজর কেড়েছে
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেসুরো বাজছেন। প্রথমে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজীব। সম্প্রতি তিনি আক্ষেপ করেন, দলে স্তাবকরাই সমানের সারিতে। এরপর নানা মঞ্চে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার সম্প্রতি ক্যাবিনেট বৈঠকেও উপস্থিত থেকেছেন। প্রায় তিনমাস তিনি ক্যাবিনেট বৈঠকে অংশ নেননি।

একুশের প্রথম অমিত সফরেই কি রাজীবের পদ্ম-যোগ!
ইত্যবসরে অমিত শাহ জানুয়ারি মাসে আবার আসছেন বঙ্গ সফরে। এবার তাঁর কর্মসূচির স্থান কলকাতার পাশাপাশি হাওড়ায়। হাওড়ায় অমিত শাহ সভা করতে পারেন বলে জানানো হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তরফে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শুভেন্দু যেমন মেদিনীপুরের সভায় যোগ দিলেন বিজেপিতে, রাজীব তেমনই হাওড়ার সভায় যোগ দিতে পারেন।

শুভেন্দু-বিয়োগের পর রাজীবের মানভঞ্জনে তৎপরতা
রাজীব বারবার দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে যেন শুভেন্দুর নাম জড়ানো না হয়। কেন না প্রত্যকের বিষয় অন্য অন্য। ইতিমধ্যে দু-বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেছেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। তারপর তিনি ক্যবিনেট বৈঠকেও আসেননি। এখন রাজীবকে মানিয়ে ফের তৃণমূলে সক্রিয় করা সম্ভব, নাকি তিনিও পাড়ি দেন বিজেপিতে, তা বলবে ভবিষ্যৎ।

রাজীবকে রাখতে চেষ্টার কসুর করছে না তৃণমূল
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেন্দুর মতো জনপ্রিয় নেতা। তার উপর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে গেলে তৃণমূলের কাছে তা আরও একটা বড় ঝটকা হবে। তৃণমূল চাইছে না ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তেমন কিছু হোক। রাজীবের মতো নেতাকে রাখতে তাই চেষ্টার কসুর করছেন না তাঁরা।
তৃণমূলের শেখানো বুলি বলছেন বাসুদেব বাউল, ফেসবুক পোস্টের পাল্টা দাবি অনুপম হাজরার