মেলবোর্ন: ক্রিকেটের ‘ডন’ নামেই পরিচিত স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান৷ ১৯২৮-২৯ মরশুমে অ্যাশেজ সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা-রেখেছিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান৷ অভিষেক টেস্টে ব্র্যাডম্যানের ‘ব্যাগি গ্রিন’ ক্যাপটা নিলামে বিক্রি হল ভারতীয় মুদ্রায় ২.৫১ কোটি টাকায়৷

শেন ওয়ার্নের ‘ব্যাগি গ্রিন’ নিলামে দাম পেয়েছিল ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার৷ কিন্তু ব্র্যাডম্যানে টুপি সেই দাম ছুঁতে পারল না৷ কিংবদন্তি এই ব্র্যাডম্যানের টেস্ট অভিষেকের টুপি বিক্রি হয় ৪৫০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে৷ অর্থাৎ কিংবদন্তি লেগ-স্পিনারের টুপির থেকে অনেক কম দামে৷ চলতি বছরের শুরুতে বুশফায়ার রিলিফ ফান্ডে দান করতে নিজের ‘ব্যাগি গ্রিন’ নিলামে তুলেছিলেন ওয়ার্ন৷

তবে ব্র্যাডম্যানের টুপিটি বিক্রি হয়েছে ক্রিকেটীয় সরঞ্জামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামে৷ তবে ক্রিকেটের ‘ডন’-এর ব্যাগি গ্রিন ক্যাপটি কিনেছেন অস্ট্রেলিয়ান বিজনেসম্যান পিটার ফ্রেডম্যান৷ Rode Microphones-এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডম্যান চলতি বছরের শুরুতে ৯ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে নিলামে একটি গিটার কিনেছিলেন৷ যে গিটারটি বাজাতেন Nirvana front man-এর কার্ট কোবেন৷

স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন কেনা প্রসঙ্গে ফ্রেডম্যান জানান, ‘স্যার ডন ব্র্যাডম্যান একজন অজি কিংবদন্তি৷ ক্রীড়াক্ষেত্রে শুধু একজন মহান প্রতিভা নয়, সর্বকালের একজন শ্রদ্ধেয় ক্রীড়াবিদও৷ ব্যাগি গ্রিন নিয়ে আমার কিছু প্ল্যান ছিল৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে গিয়ে এ নিয়ে আমি স্পোর্টস ফ্যান ও ক্রিকেটিং কমিউনিনিটির মধ্যে আলোচনা করেছি৷’

তবে অকশনার আশা করেছিলেন কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যানের টুপ এক থেকে দুই মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে বিক্রি হবে৷ কিন্তু এমনটা হয়নি৷ অল-লাইন অকশনে ব্র্যাডম্যানের অভিষেক টেস্ট ক্যাপের নূন্যতম দাম ধার্য হয়েছিল ৪০০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার৷

এর আগেও ব্র্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন নিলামে বিক্রি হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালে শেষ ইংল্যান্ড সফরের ব্যাডম্যানের ব্যাগি গ্রিন ২০০৩ সালে নিলামে বিক্রি হয়েছে ৪২৫, ০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে৷ সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ব্র্যাডম্যানের টেস্ট গড় আজও অক্ষত৷ সম্ভবত কোনও দিন এই রেকর্ড ভাঙবে না৷ মাত্র ৫২টি টেস্টে ২৯টি সেঞ্চুরি ও ১৩টি হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৬৯৯৬ রান করেছেন এই কিংবদন্তি৷ গড় ৯৯.৯৪৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।