কলকাতা: প্রয়াত জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক তথা অভিনেতা জগন্নাথ গুহ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০৷ তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল৷ ১৯৮৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন৷
শিল্পীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে ফোরামের কার্যনিবার্হী সভাপতি তথা অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,‘চলে গেলেন সিরিয়ালে আমার প্রথম ডিরেক্টর জগন্নাথ গুহ। শান্তিতে থেকো জগাদা৷’
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জগন্নাথ গুহ৷ বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় অসুস্থ ছিলেন৷ তার মধ্যেই আক্রান্ত হন করোনায়৷ তারপর তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল৷ তবে করোনা পরবর্তী সমস্যার জন্য দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷
সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের এর প্রাক্তন ডিন এবং শর্ট ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন জগন্নাথ গুহ৷ তার অন্যতম স্মরনীয় কাজের মধ্যে রয়েছে ‘সলিউশন এক্স’, ‘আবার যখের ধন’, ‘মনোরমা কেবিন’, ‘ওগো প্রিয়তমা’, ‘বর বউ খেলা’। অভিনয় করেছিলেন ‘নেমসেক’, ‘সিটি অব জয়’, ‘পুরুষোত্তম’, ‘ঘরে বাইরে আজ’-এর মতো একাধিক সিনেমায়৷
১৯৮৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে জগন্নাথ গুহ পরিচালিত ছবি ‘মিত্রানিকেতন ভেলানাদ’ সেরা শিক্ষামূলক ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছিল।
২০২০ সালে বলিউড থেকে টলিউড, একাধিক তারকা এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন গুনীজনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন মানুষ। ইরফান খান থেকে ঋষি কাপুর, ওয়াজিদ খান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মনু মুখোপাধ্যায়, একের পর এক তারকা চলে যান। ফিল্ম দুনিয়ার একের পর এক মানুষের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এবার সেই তালিকায় যোগ হল জগন্নাথ গুহ-র নাম৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.