নয়া করোনা স্ট্রেনের আঘাতে বিধ্বস্ত ব্রিটেন! প্রজাতন্ত্র দিবসে কী আদৌও ভারতে আসছেন বরিস জনশন?
টিকাকরণ শুরু হলেও গোটা ব্রিটেন জুড়েই ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নয়া করোনা স্ট্রেন। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। এমনকী এই অভিযোজিত করোনা প্রতিরোধে কোনও দিশা দেখতে না পেয়ে ফের লকডাউনের পথে হেঁটেছে ব্রিটিশ সরকার। এমতাবস্থায় আগামী বছরে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনশনের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে দানা বাঁধছে আশঙ্কার মেঘ।

নয়া করোনা স্ট্রেনের আগমণে তীব্র আতঙ্ক গোটা ব্রিটেনেই
এদিকে মহামারী পর্বের শুরু থেকেই মারণ করোনার থাবায় ধুঁকছিল ব্রিটেন। তীব্র মন্দার ছাপ সমগ্র ব্রিটিশ অর্থনীতিতেও। যদিও জুন-জুলাইয়ের পর থেকে করোনা সংক্রমণের ধার ধীরে ধীরে কিছুটা কমলে গোটা পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি দেখা যায়। এমনকী টিকা আবিষ্কারেও কোমড় বেঁধে নামে ব্রিটেন। কিন্তু বর্তমানে নয়া করোনা স্ট্রেনের প্রাদুর্ভাবের হাত ধরে ফের বেকায়দায় ইংল্যান্ড। ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে বিপদের মধ্যে রেখে কী ভাবে ২৬ জানুয়ারী ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে আসবেন বরিস জনশন তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা।

কী বলছে ব্রিটেনের বর্তমান করোনা মানচিত্র ?
এদিকে মঙ্গসবার সন্ধ্যে পর্যন্ত ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করেছে ২০ লক্ষ ৭৩ হাজারের গণ্ডি। যার মধ্যে মারা গিয়েছেন ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে বড় মাত্রায় সংক্রমণ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে ডিসেম্বরের শেষ দু সপ্তাহে। এদিকে দেশজোড়া উদ্বেগের মাঝেই জরুরি ভিত্তিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রিটেনে। কিন্তু তারপরেও কমেনি উদ্বেগ।

গত সপ্তাহেই ভারতের আমন্ত্রণে সায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
অন্যদিকে আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-৭ সামিটে আসর জন্য ইতিমধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তারপরেই ইন্দো-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর দিতে আগামী বছর ২৬ জানুয়ায়ী ভারতের প্রধান অতিথি হয়ে আসার জন্য বরিস জনশনকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। গত সপ্তাহেই সেই আমন্ত্রণে সায়ও দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

জল্পনা অব্যাহত, আসেনি সরকারি বিবৃতি
এমনকী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যে নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে বছর ঘুরতেই ভারতে আসছেন তা সরকারি বিবৃতির মাধ্যেমে জানাতে দেখা যায় ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডমিনিক রবকে। বরিস এই আগমণেই ভাঙতে চলেছিল প্রায় তিন দশকের পুরনো রেকর্ড। কারণ এর আগে ১৯৯৩ সালেই শেষবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে আসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। তারপর প্রথম ভারতের মাটিতে পা পড়ত বরিসের। কিন্তু নয়া করোনা স্ট্রেনের আগমণে সে সবই এখন দোলাচলে। তবে বরিসের ভারত সফর বাতিলের বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি ব্রিটেনের তরফে।

করোনার ভয়াবহতা কমছে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়-সহ জেলার পরিসংখ্যান একনজরে