মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৪ মন্ত্রী! জল্পনা তুঙ্গে
নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠক সেরেই অমিত শাহের প্রতি আক্রমশ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কিন্তু সেই ক্যাবিনেট বৈঠকে আগের মতোই অনুপস্থিত একাধিক মন্ত্রী। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনুপস্থিত মন্ত্রীদের তালিকায় অন্যতম বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (rajib banerjee)।

নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত ৪ মন্ত্রী
২২ ডিসেম্বর হওয়া নবান্নের ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুপস্থিত রাজ্যের চার মন্ত্রী। সেই তালিকায় রয়েছেন, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, চন্দ্রনাথ সিনহা এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীই করোনা পরিস্থিতিতে গৌতম দেব এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে বারেবারে উত্তরবঙ্গ-কলকাতা করতে বারণ করেছেন। গত মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন গৌতম দেব। তারপর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে চন্দ্রনাথ সিনহা নিজের অনুপস্থিতিত সম্পর্কে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে কিছুই জানাননি বলে সূত্রের খবর। অন্য একটি সূত্রের খবর চন্দ্রনাথ সিনহা, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ওপরে ক্ষুব্ধ।

নভেম্বরেও বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন চার জন
নভেম্বরের ক্যাবিনেট বৈঠকেও অনুপস্থিত মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল চারজন। এঁদের মধ্যে গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী। সেই সময় এই দুই মন্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে ছিলেন না, সেই সময় মন্ত্রিসভায় থাকা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই সময়ে শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেও, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তা করেননি।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চলছে আলোচনা
দক্ষিণ কলকাতার এক অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, স্তাবকতা করলে নম্বর বাড়ে। ভালকে খারাপ আর খারাপকে ভাল তিনি বলতে পারেন না। তাই তাঁর নম্বর কম। এরপরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পোস্টার পড়তে শুরু করে শহর থেকে শহরতলিতে। এরপরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রশান্ত কিশোর এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ১৩ ডিসেম্বর বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ক্ষোভ থাকতেই পারে কিন্তু তার সঙ্গে এব্যাপারে যেন কাউকে জড়ানো না হয়। এরপর সোমবারও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। দুজনের মধ্যে প্রায় দেড়ঘন্টার মতো বৈঠক হলেও, কেউ এব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।

বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু
একের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এদিন তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে বিজেপি না থাকলে তৃণমূলও থাকত না। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আডবাণী আশ্রয় না দিলে ২০০১ সালের আগেই উঠে যেত তৃণমূল।
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে, একুশের আগে শুভেন্দুর যোগদানেও তরজা অব্যাহত