প্রতীতি ঘোষ, বারাসত : প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হলো এক বিজেপি কর্মীকে। মৃতের নাম
অশোক সর্দার। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকায়। মৃত ওই বিজেপি কর্মী পেশায় একজন প্রোমোটার ছিলেন।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার রোহান্ডায় প্রোমোটিং ব্যবসায়ী অশোক সর্দারকে (৫০) গুলি করে খুন করতেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। খুন হওয়া প্রোমোটিং ব্যবসায়ীর পরিবারের লোক ও খোদ নিজের ছেলে দাবী করলেন তাঁরা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। মৃতদেহর ময়নাতদন্ত ঘিরে জটিলতা নিয়ে উত্তাল বারাসাত হাসপাতাল।
নিহতের পরিবার বিজেপির অভিযোগ শাসক দল ও প্রশাসনের চক্রান্তে খুন হয়েছেন অশোক সর্দার ।তাদের দাবী দুই দিন আগেই মৃত অশোক বাবুর বাড়িতে বিজেপির কর্মীরা আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মিটিংও করেছিলেন আর এই কারনেই তাকে গুলি করা হয়েছে।
নিহত অশোক সর্দারের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার নারায়ণপুরে। নিহতের পুত্র লাল্টু সর্দার যুব মোর্চার জেলা স্তরের নেতা । লাল্টু সর্দার দাবী করেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁর বাবা অশোক সর্দারকে ।এদিন সকালে তাকে ফোন করে রহিন্ডা তে একটি প্রোমটিং সাইটে ডাকা হয় অশোক বাবু সেই মত ওখানে পৌঁছালে দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে ।
গুলিবিদ্ধ অশোক বাবুকে এদিন মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে পরিবারের লোককে জানায়
এর পর ময়না তদন্তের জন্য তড়িঘড়ি বারাসাত হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হলে ফের শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানুত্তর। বিজেপি ও পরিবারের দাবী মৃতকে ডেথ সার্টিফিকেট না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বারাসাত হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ ।চার ঘন্টার আগেই দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেলেও মৃতদেহ নথিভুক্ত না হওয়ায় শুরু হয়। বিজেপি ও পরিবারের অভিযোগ ও আশংকা যে অশোক সর্দারকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে দ্ৰুত তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসকদের একাংশের সহযোগিতায় তৈরী করেছে শাসক দল।
এর ফলে বিজেপি ও মৃতের পরিবারের ক্ষোভ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বারাসাত হাসপাতাল। এদিকে সমস্ত অভিযোগ উড়িরে দিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি তৃণমূল কোনও ভাবেই এই হত্যা কাণ্ডের সাথে যুক্ত নয়,এই হত্যা কান্ড টি জমিজমা সংক্রান্ত কারনে হতে থাকতে পারে। কারন মৃত ব্যক্তি একজন প্রোমোটার ছিলেন তাই জমিজমা সংক্রান্ত রেষারেষি তেই এই খুন হয়েছে। তৃণমূলের এত দুর্দিন আসে নি যে বিজেপি র সাধারন এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলতে হবে। তৃণমূল খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.