কাঠমাণ্ডু: পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে। মঙ্গলবার নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির উপর তাঁর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে গিয়ে উল্টে নিজেই পদ হারালেন তিনি।

এদিন তিনি তাঁর অনুগতদের দলের সেন্ট্রাল কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে দলে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, পুষ্পকমল দহাল ওরফে ‘প্রচণ্ড’ নেতৃত্বাধীন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষে তার বদলে তাঁকে দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে সেই জায়গায় বসিয়েছে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল-কে।
এদিন নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে দুটি আলাদা বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পার্টিতে তাঁর অনুগতদের ডেকে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য সংখ্যা ৪৪৬ থেকে বাড়িয়ে ১১৯৯ করার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত ৫৫৬ সদস্যই তাঁর অনুগামী।

কিন্তু নেপালের নিয়ম অনুযায়ী কোনও দলের বর্তমান সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চাইলে তবেই তার সম্প্রসারণ করা যায়।

এরই কয়েক ঘন্টা পর নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে দহাল গোষ্ঠী কেপি শর্মা ওলিকে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান-এর পদ থেকে সরিয়ে মাধব কুমার নেপাল-কে তাঁর জায়গায় বসায়।

সেন্ট্রাল কমিটির ৩১৫ জন সদস্য মাধব নেপালের পক্ষে ভোট দেন। দলের মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ওলিকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে।

কেপি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে ভারতীয় স্থানকে নেপালের বলে দাবি করা হয়েছে। আর এর সবটাই চিনের প্ররোচনায় বলে মনে করা হয়। কাজেই নেপালে কমিউনিস্ট পার্টিতে ওলির বিদায় মানে কাঠমাণ্ডুর উপর চিনের নিয়ন্ত্রণও আর থাকল না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সুমন গাঙ্গুলী।