মাদ্রিদ: অ্যাওয়ে ম্যাচে এইবারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে লা লিগা টেবলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রিয়াল মাদ্রিদ৷ লিগ শীর্ষে রয়েছে সিটি প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ৷ পাঁচ নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা৷
ম্যাচের ৬ মিনিটে করিম বেঞ্জিমার গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল৷ মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেই হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। পাল্টা আক্রমণে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানায় এইবার। অনেক সুযোগ নষ্টের পরও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। এই জয়ের ফলে লিগে রেকর্ড টানা চার ম্যাচ জিতল রিয়াল৷
উদ্বোধনী গোলটি করার পর এবং দু’জনকে গোলের সুযোগ করে দেওয়া বেঞ্জিমাকে “অভূতপূর্ব” আখ্যা দেন রিয়াল ম্যানেজার৷ এইবারে বিরুদ্ধে রিয়াল মাদ্রিদের ৩-১ ব্যবধানে জয় তাদের লা লিগার শীর্ষে থাকা সিটি প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোর সঙ্গে পয়েন্ট সমান হয়৷ তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় দু’ নম্বরে রয়েছে রিয়াল৷
বেঞ্জিমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর ১৩ মিনেটেই ব্যবধান বাড়ান লুকা মদ্রিচ। তবে প্রথমার্ধেই ব্যবধান কমায় এইবার৷ কিকে গার্সিয়া ব্যবধান কমানোর পর লড়াই জমে ওঠে। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে লুকাস ভাসকেসের গোলে জয় নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ৷ ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল দখলের লড়াইয়ে রিয়াল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণভাগে দু’দল ছিল সমান-সমান। ‘অফ দ্য বল’-এ বেশি আগ্রাসী ছিল এইবার৷ তবে ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে দু’গোল হজম করা এইবার আক্রমণভাগে শক্তি বাড়ায়৷
ম্যাচের শুরুতে রদ্রিগোর বাড়ানো ক্রস ডি-বক্সে ধরে বাঁ-পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বেঞ্জিমা৷ এই মরশুমে লিগে ফরাসি স্ট্রাইকারের এটি সপ্তম গোল। ত্রয়োদশ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে মদ্রিচ৷ প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পা-থেকে ভাসকেস বল কেড়ে নেওয়ার পর বাইলাইনের কাছ থেকে কাটব্যাক করেন বেঞ্জিমা। আর প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে জালে বল জড়াতে সক্ষম হন ছন্দে থাকা মদ্রিচ। এইবার গোলরক্ষক বল হাত লাগালেও সফল হয়নি৷
এরপর আরও দু’টি সুযোগ নষ্ট করে রিয়াল৷ ১৬ ও ২৬ মিনিটে নিশ্চিত দু’টি সুযোগ হাতছাড়া হয় চ্যাম্পিয়নদের৷ তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’ গোলে পিছিয়ে গেলেও খেই হারায়নি প্রথম ১৩ রাউন্ডে মাত্র তিনটি ম্যাচ জেতা এইবার। বরং পাল্টা আক্রমণে চাপ বাড়াতে থাকে রিয়ালের উপর। ২৮ মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় এইবার। ভাসকেসের ভুলের পর সতীর্থের পা-ঘুরে বল ধরে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ শটে ব্যবধান কমান গার্সিয়া। এরপর ৩৫ মিনিটে বেঞ্জিমা জালে বল পাঠালেও অফ-সাইডের পতাকা ওঠে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সের্জিও রামোসের ভুলে বিপদে পড়তে পারত রিয়ালের। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি এইবার। তারপর ৮১ মিনিটে ডি-বক্সে রামোসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে এইবার। কিন্তু ভিএআরে সাড়া মেলেনি।
ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে চাপ বাড়ায় এইবার৷ উলটে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ভাসকেসের গোলে জয় নিশ্চিত রিয়াল৷ সব প্রতিযোগিতা মিলে এটি রিয়ালের টানা পঞ্চম জয়। আর লিগে এটি তাদের নবম জয়। ফলে ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল। সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ১২ ম্যাচ খেলা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.