করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আটকাতে বিশেষ উদ্যোগ মহারাষ্ট্রে! এবার অতি সাবধানী উদ্ধব সরকার
করোনা (coronavirus) ঠেকাতে ফের কারফিউ-এর পথে হাঁটল মহারাষ্ট্র সরকার (maharashtra)। এদিন উদ্ধব ঠাকরের সরকার ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতে সাত ঘন্টার কারফিউ থাকবে রাজ্য জুড়ে। রাত এগারোটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ব্রিটেনে পাওয়া গিয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন
ব্রিটেনে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। যা আগের স্ট্রেনের সঙ্গে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইওরোপের বিভিন্ন দেশে ব্রিটেন সফরের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ পূর্ব ইংল্যান্ডে করোনার মিউটেন্ট ভাইরাসের হদিশ মেলে। রবিবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। যদিও এব্যাপারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই স্ট্রেনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মহারাষ্ট্রে ১৫ দিনের রাতের কারফিউ
এদিন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেখানেই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকার মঙ্গলবার ২২ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাতে সাত ঘন্টার কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাত এগারোটা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবত থাকবে। রাজ্যের সবকটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে এই কারফিউ লাগু করা হবে। মুখ্য
মন্ত্রী আরও বলেছেন, রাজ্যের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ওপরে বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য।

বিদেশ থেকে এলেই কোয়ারেন্টাইনে
সরকারের তরফে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে পর্যটকরা আসলে তাঁদেরকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ১৪ দিনের জন্য। বাকিদের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এইসব পর্যটকদের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হবে পঞ্চম এবং সপ্তম দিনে। এরপরেই তাঁদের কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। মিউনিসিপ্যাল কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনের বন্দোবস্ত করেন। বিমানবন্দরের কাছেই এই বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সতর্ক আছে সরকার, জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, সরকার পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে। এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, গত এক বছরে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। পরে জানানো হয়েছে ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের মধ্যে চলাচলকারী সব বিমান বন্ধ রাখা হচ্ছে।

বড়দিনের ছুটিতেও মোদী সরকারের সঙ্গে তফাত! বিজেপিকে খোঁচা মমতার