শুভেন্দু এখন বিজেপিতে, নেতাইয়ের শহিদ বেদীতে উড়ল বিজেপির পতাকা
শুভেন্দু অধিকারীর দল বদলের ছোঁয়ায় নেতাইয়ের শহিদ বেদীতেও বদলে গেলো রঙ। তৃণমূলের সবুজ পতাকার বদলে পতপত করে উড়ছে বিজেপির গেরুয়া পতাকা।

নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে অরাজনৈতিক মঞ্চে প্রতিবছর নেতাইয়ের শহিদ দিবস পালিত হয় যদিও অরাজনৈতিক মঞ্চ, কিন্তু আয়োজন করেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাই। প্রতিবছর উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১১ এর থেকে গোটা গ্রাম সমর্থন করে তৃণমূলকে। কিন্তু শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রঙ বদলে গেল নেতাই গ্রামের। গ্রাম জুড়ে দেখা গেল বিজেপির ঝান্ডা। এমনকি শহিদ বেদীতেও উড়তে দেখা গেল গেরুয়া পতাকা।
নেতাইয়ের গ্রামবাসীদের কথায়, 'শুভেন্দু অধিকারী কোন রাজনৈতিক দল করবেন, তাঁদের কাছে তার কোনও গুরুত্ব নেই। ব্যক্তি শুভেন্দুকেই চেনেন তাঁরা।'
এ প্রসঙ্গে নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি দ্বারকানাথ পান্ডে বলেন, ''আমাদের গ্রামের লোক আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছে। শুভেন্দু কোন দলে গেলেন, কী করলেন তা আমরা গ্রামের লোক কেউ কিছু দেখব না। শুভেন্দু অধিকারী আমাদের গ্রামকে ভালবাসেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামে আসেন, উনি যে দলই করুক না কেন আমরা উনাকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। সুতরাং উনাকে আমরা দল হিসেবে দেখি না, মানুষ হিসেবে দেখি। নেতাই গ্রামের লোক শুভেন্দু অধিকারীকেই চেনে, তাঁর রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয় না।''
জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর প্রতিবছর ৭ ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করার জন্য পৌঁছে যান শুভেন্দু। খোঁজখবর নেন নেতাই গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগের। শোনেন সমস্যার কথা। এলাকার মানুষের বক্তব্য, 'শুভেন্দুবাবু তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নেতাই গ্রামে বহু কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। শুভেন্দুর হাত ধরে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন কেউ অস্থায়ী কেউ বা পাকাপোক্ত। কিছুদিন আগে শুভেন্দু নিজ উদ্যোগে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য ৫২ টি সেলাই মেশিন এবং গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করে দেন। শুভেন্দুবাবু বিপদে আপদে পাশে থাকেন। আমরাও সারাজীবন ওঁর পাশে থাকব।'

অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের দিলীপের