স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান : মৎস্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, প্রতারিত ঐ যুবককে মৎস্য দফতরে চাকরীর জাল নিয়োগপত্র দেয় প্রতারকরা। নিয়োগপত্রটি জাল জানার পর প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা ফেরত চান ঐ যুবক। তাঁকে লক্ষাধিক টাকা ফেরতও দেওয়া হলেও বাকি টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় প্রতারকরা।
এরপরই প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ঐ যুবক স্থানীয় খণ্ডঘোষ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, থানা এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে যুবকের আইনজীবী বিধান চন্দ্র সামন্ত বলেন, “থানা ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি এসপিকে জানানো হয়। তারপরও পুলিস সক্রিয় হয়নি। বাধ্য হয়ে বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের জন্য খণ্ডঘোষ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।”
যদিও খণ্ডঘোষ থানার এক অফিসার বলেন, এ ধরণের অভিযোগ জানাতে থানায় কেউ এসেছিল বলে জানা নেই। আদালতের নির্দেশের বিষয়েও কিছু জানা নেই। আদালত নির্দেশ দিলে তা খতিয়ে দেখে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আদালতে খণ্ডঘোষ থানার পদুয়ার যুবক শেখ ফিরোজ জানিয়েছেন, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে খণ্ডঘোষ থানারই সালুন গ্রামের এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। সে তাঁকে রাজ্য সরকারের মৎস্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলে। তার ভাগ্নের সঙ্গে সরকারি অফিসারদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানায় সে। চাকরির জন্য তাঁকে ৭ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা দিতে বলা হয়। সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা তিনি দেন। এরপর তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র ও অন্যান্য নথিপত্র চাওয়া হয়। তিনি তা জমা দেন। টাকা দেওয়ার কারণে তাঁকে চাকরির পরীক্ষায় বসতে হবে না বলে জানানো হয়।
আরও জানা গিয়েছে, কিছুদিন পর তাঁর কাছে মৎস্য দফতরের ফিল্ড এক্সিকিউটিভ পদের একটি নিয়োগপত্র ডাকযোগে পাঠানো হয়। খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, নিয়োগপত্রটি জাল। এরপরই তিনি প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফের তাঁকে মৎস্য দফতরের একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে বলা হয়। সেটিও জাল বলে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তিনি।
এরপর তিনি টাকা ফেরত চান। বেশ কয়েকবার তাগাদার পর তাঁকে দু’দফায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। তারপর থেকেই প্রতারকরা তাঁকে এড়িয়ে চলে। কিছুদিন আগে তিনি বাকি টাকা চাইতে প্রতারকের বাড়িতে যান। তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি টাকা ফেরত পেতে আইনজীবীর নোটিশ পাঠান। যদিও নোটিশকে বিন্দুমাত্র আমল দেয়নি প্রতারকরা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.