তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: এবার তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের দীর্ঘ দিনের ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ‘দলত্যাগী’ জয়ন্ত মিত্র।

এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর দলত্যাগের সমর্থণে বলতে গিয়ে নিজের ছেড়ে আসা দলের ভোট কৌশলীকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। গেরুয়া উত্তরীয় কাঁধে নিয়ে জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘কাজের লোকদের সব সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন দলের উচ্চ নেতৃত্ব আর পি.কে সমার্থক হয়ে গেছে’। তৃণমূলে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চলছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘এই অবস্থায় দমবন্ধ হয়ে আসছিল’। মানুষ তলে তলে পরিবর্তন হয়ে গেছে, বিগত লোকসভা ভোটের ফলাফলই সেকথা বলছে।

আপনাকে কি তিনি তৃণমূল বহিস্কার করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়ন্ত মিত্র বলেন, আমি ঢুকে কোথায় আছি যে বের করবে? আর বের করার হলে তো অনেক দিন আগেই তা করেছে। নেতৃত্বের তরফে অনেক দিন ধরেই দাবি করা হচ্ছিল ‘আমি নাকি বিজেপিতে চলে গেছি’। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে বলেন, কাকতালীয়ভাবে কালী পুজোর উদ্বোধনে ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আর তা নিয়ে দাদা দিদির দল বলে তকমা দেওয়া হচ্ছিল। এতোসবের কারণেই তিনি ‘সরে গেলেন’ বলে দাবি করেন।

তবে খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কিনা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি জানিয়ে বলেন, বিজেপিতে একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। আর তার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর প্রভাব ভোটের বাক্সে পড়বে কিনা তা সময় উত্তর দেবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সভা থেকে ঐ দলে যোগ দেন জঙ্গল মহলের ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত মিত্র। ওখান থেকে ফিরেই জনসংযোগ বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন তিনি। নিজের অনুগামীদের নিয়ে গেরুয়া উত্তরীয় কাঁধে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।

জয়ন্ত মিত্রের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে দলের বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, বিভিন্ন দল থেকে আসা মানুষদের নিয়ে সংগঠন শক্তিশালী হয়। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়, কৃষির উন্নতি, শিল্প স্থাপন ও বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরী করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। সেকারণেই অন্য দল ছেড়ে আসা নেতা কর্মীদের বিজেপিতে স্বাগত। এতো সবের পরেও এখানে ব্যক্তি বড় নয়, দল বড় বলেও বক্তব্য স্পষ্ট করে দেন তিনি।

দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক, সদ্য দলত্যাগী জয়ন্ত মিত্রের দলবদল প্রসঙ্গে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘জয়ন্ত মিত্রের মতো আগাছা দল ছাড়ায় তৃণমূল বেঁচে গেল’। এই ধরণের সুবিধাভোগী মানুষ যতো দল ছাড়বে তৃণমূল শক্তিশালী আর বিজেপি দূর্বল হবে।

জয়ন্ত মিত্র ও তার লোকেদের কারণেই বিগত লোকসভা ভোট জঙ্গল মহলে তৃণমূলের খারাপ ফল হয়েছিল দাবি করে তিনি আরও বলেন, এবার জঙ্গল মহলে তাদের সংগঠন আরো শক্তিশালী হবে। তবে দলত্যাগের আগে দলের সাধারণ সদস্যপদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল। উনি তা করেননি। এবার দলের উচ্চনেতৃত্ব এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।