করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলার পূর্ব প্রস্তুতি পর্ব চলছে জোড় কদমে
আর ঠিক একমাসেরও কম সময় আছে বিশ্ব মহামারী করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। আমরা জানি সব তীর্থ বারবার গঙ্গা সাগর একবার কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার আসার পরে সাগর মেলার প্রভূত উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সব তীর্থ একবার গঙ্গা সাগার বারবার । এখন তীর্থ যাত্রীরা সকালে বেরিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে আসতে পারছে যেটা আগে সম্ভব ছিলো না। এদিকে গতকাল নবান্নের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ গঙ্গা সাগর পদস্থ কর্তারা।

করুনা আবহে ভিড় এড়াতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অনলাইন দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে কপিলমুনির আশ্রম এর সম্পূর্ণ দর্শন করতে পারেন দর্শনার্থীরা। ই -অ্যাপ এনেছে রাজ্য সরকার।এই অ্যাপের মাধ্যমে সাগর মেলা ভ্রমণ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা,সাগর মেলার সমস্ত অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই অ্যাপ এর মাধ্যমে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেলস্টেশনে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও সুরক্ষা কেন্দ্র থাকবে,এছাড়াও দুটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি জল অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রয়েছে যাতে করে করোনাগুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায়। এর পাশাপাশি প্রত্যেক ভেসেল ঘাটে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে স্যানিটাইজার টানেল এবং আম্ফানে যে ত্রিফলা লাইট গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর মেরামতের কাজ চলছে ।সাগরদ্বীপ, আউট রাম ঘাট থেকে কাকদ্বীপ, নামখানা পর্যন্ত বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে কড়া নজরদারি চালাবে প্রশাসন।প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন এই তীর্থস্থানে।
তবে এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে সাগর মেলা রাজ্য সরকারের কাছে খুব বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ দাড়িয়ে মেলা যাতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি সেটি তারা চালিয়ে যাচ্ছে । এবারে গঙ্গা সাগর মেলায় অস্থায়ী হাসপাতাল এর বেশ কিছু বিল্ডিং কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে । এখানে কোভিডের জন্যও ছয়টি আইসিইউ বেডে রূপান্তরিত করা হবে । যাতে মেলা প্রাঙ্গণে বয়স্ক পূর্নাথীদের কোভিডে বাড়াবাড়ি হলে এখানে পুরো চিকিৎসা ব্যাবস্থা পায় তার দিকে পুরো নজর থাকবে রাজ্য সরকারের।

কাশী মিত্র শ্মশানঘাটেও আরও একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি