অ্যাডিলেড: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ রানে অল-আউট ভারত৷ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর৷ অ্যাডিলেড ওভালে বিরাটদের লজ্জার ইনিংসের পর ক্যাপ্টেন কোহলির ‘ফেভারিট’ হেডস্যার রবি শাস্ত্রী’কে বরখাস্তের দাবি তুললেন ভারতীয় ফ্যানেরা৷

শনিবার সকালটা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের ভয়াবহতম দিন৷ অজি পেসারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বিরাটদের৷ জোস হ্যাজেলউড ও প্যাটি কামিন্সের ভয়ংকর বোলিংয়ের সামনে ৩৬ রান শেষ হয়ে যায় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস৷ আর সেই সঙ্গে লজ্জার রেকর্ড গড়ে কোহলি অ্যান্ড কোং৷ এটাই ভারতের সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর৷ এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৪২৷ ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪২ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল অজিত ওয়াদেকরের ভারত৷

এদিন ৯ রানে এক উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত৷ কিন্তু শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের গতি ও সুইংয়ে দিশেহারা করে দেন অজি পেসাররা৷ মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ রানে ভারতীয় ইনিংসের ৬ উইকেট তুলে নেন৷ এখানেই শেষ নয়৷ ৩৬ রানে ৯ উইকেটে শেষ হয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস৷ কারণ প্যাট কামিন্সের বল হাতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন মহম্মদ শামি৷

জোস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্সের ভয়ংকর বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসর্মপণ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের৷ ৫ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন হ্যাজেলউড৷ ২১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন কামিন্স৷ আর এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৫৮ রান৷ ১৯৭৪ সালে ব্রিসবেনে ৫৮ রানে অল-আউট হয়েছিল লালা অমরনাথের ভারত৷

সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করেন ২৪৪ রান তুলেছিল বিরাটবাহিনী৷ তারপর দুরন্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ১৯১ রানে শেষ করে দিয়ে ৫৬ রানের লিড দিয়েছিল ভারতীয় বোলাররা৷ ফলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল ৯০ রান৷ মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত৷

অ্যাডিলেডে বিরাট লজ্জার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাস্ত্রীর ড্রেসিংরুমে ঘুমের ছবি পোস্ট করে তাঁর বরখাস্তের দাবি তোলেন ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানেরা৷ শুধু তাই নয়, শাস্ত্রী’র পরিবর্তে ভারতীয় কোচের দায়িত্ব রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানান কোনও কোনও ফ্যান৷

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৬ ডিসেম্বর থেকে৷ মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে খেলবেন না কোহলি৷ পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দেশে ফিরবেন বিরাট৷ ফলে সিরিজের বাকি তিনটি টেস্টে ভারতকে নেতৃত্বে দেবেন ভাইস-ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।