পানাজি: রবিবাসরীয় জিএমসি ব্যাম্বোলিম স্টেডিয়ামে আইএসএলের ষষ্ঠ ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হতে চলেছে কেরালা ব্লাস্টার্সের। অর্থাৎ, চলতি টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে আগামীকালের ম্যাচের আগে একই মেরুতে দাঁড়িয়ে দু’দল। চতুর্থ ম্যাচে জামশেদপুরকে আটকে দিয়ে প্রথম পয়েন্ট সংগ্রহ করার পর গত ম্যাচে হয়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম গোল পেয়েছে দল। তবে জ্যাক ম্যাঘোমার জোড়া গোলেও হার এড়ানো যায়নি।
তাই রবিবার কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে মনোসংযোগ বাড়ানোর কথা বলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার। লিভেরপুল লেজেন্ড বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছি আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ফলাফল আমাদের সঙ্গ দেয়নি। আমরা প্রত্যাকবারই জয়ের লক্ষ্যেই নেমেছি এবং বিশ্বাস রেখেছি আমরাও পারি।’ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে এই কেরালা ব্লাস্টার্সকেই ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচের ফলাফল কী কোনওভাবে প্রভাব ফেলবে রবিবারের ম্যাচে?
উত্তরে ফাওলার জানান, ‘এটা ঠিক যে প্রস্তুতি ম্যাচে ওদের বিরুদ্ধে আমরা ভালো ফল করেছিলাম। কিন্তু এর সঙ্গে আগামিকালের ম্যাচের কোনও সম্পর্ক নেই। দু’দলের কাছেই এটা একটা নতুন ম্যাচ এবং দু’দলই চাইবে ম্যাচটা জিততে।’ জামশেদপুর ম্যাচে লাল কার্ডের সাসপেনশন কাটিয়ে কেরালার বিরুদ্ধে মাঝমাঠে ফিরছেন ইউজেনসন লিংদো। তবে পাঁচ ম্যাচ ১০ গোল হজম করা ইস্টবেঙ্গলের কাছে সবচেয়ে চিন্তার কারণ রক্ষণভাগ। আর রক্ষণভাগের মনোসংযোগের অভাবের কারণকেই ১০ গোল হজমের কারণ হিসেবে বর্ণনা করছেন ব্রিটিশ কোচ।
তাঁর কথায়, ‘তুমি যে স্তরের ফুটবলই খেল না কেন, মনোসংযোগ ভীষণভাবে জরুরি। কোচিং স্টাফেরা প্রস্তুতির কোনও খামতি রাখছে না, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে হোমওয়ার্কের বিষয়েও কোনও ত্রুটি রাখছে না তারা। কিন্তু সবশেষে ফুটবলারদের মাঠে নেমে ঠিকঠাক কাজটা করতে হবে।’
ফাওলারের সংযোজন, ‘মনোসংযোগ ফুটবলে একটা মস্ত বড় বিষয়। একজন ডিফেন্ডার ভুল করলেই গোল। এমনকি একজন প্লেয়ার কিছুক্ষণের জন্য অফ হয়ে গেলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’ সবমিলিয়ে কেরালা ম্যাচের আগে নিজের দল সম্পর্কে মূল্যায়ণ সম্পর্কে ফাওলার বলেন, ‘বল পজেশনের নিরিখে আমরা ঠিক জায়গায় আছি। পেনাল্টি যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে যে কোনও দলের ক্ষেত্রেই। তবে আমরা আমাদের কাঙ্খিত ফলাফলের খুব কাছকাছি রয়েছি।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.