মেদিনীপুরঃ  রাজনীতিতে নয়া ইনিংস শুরু করেতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী! তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক গত কয়েকদিন আগেই ছিন্ন করেছেন যুবনেতা। দলের সমস্ত পদ থেকে দিয়েছেন ইস্তফা। নতুন ইনিংস শুরু করতে কোনও রকম পিছু টান রাখেননি তিনি। একদিকে যেমন কোনও পিছু টান রাখেননি তেমনই যাতে আগামিদিন শুভ হয় সে কারনে পঞ্জিকার দিকে নজর রেখেছেন।

শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, পঞ্জিকা মেনেই কাঁথির বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেদিনীপুরের জনসভার উদ্দেশে রওনা দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ পঞ্জিকা অনুযায়ী এবং ঘড়ির কাটা মিলিয়ে এদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হন।

জানা গিয়েছে, পঞ্জিকা মতে এদিন সকাল ১১.০৩-এর পর বাড়ি থেকে বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয় শুভেন্দুকে৷ সেই অনুযায়ীই সকাল এগারোটার কিছু পরে কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেখান থেকে সোজা চলে যান মেদিনীপুর সভামঞ্চে।

ইতিমধ্যে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জননেতা। এদিন সকালে নিরাপত্তা ছাড়াই অমিত শাহের সভায় পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। গত কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

সেই খবর জানিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে৷ যাতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের শুভেন্দুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায়৷ কিন্তু শুভেন্দু তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না নতুন দলে যোগদান করছেন, ততক্ষণ তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিতে চাননি। জানা যায়, তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে একাধিকবার এই বিষয়ে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি যুবনেতা।

অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়েই অমিত শাহকে বড় দাদার আসনে বসালেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই পুরনো দলের প্রতি অনুযোগের সুর শুভেন্দুর গলায়। ‘‘যাঁদের জন্য গ্রামে-গ্রামে ঘুরেছি, করোনা আক্রান্ত হওয়ার তাঁদের কেউ খোঁজ নেননি। খোঁজ নিয়েছেন অমিত শাহ।’’

পাশাপাশি বঙ্গ-সফরে এসে আক্রমণাত্মক মেজাজে অমিত শাহ। শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারী-সহ ৯ বিধায়ক তৃণমূল, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দল বদল করেছেন বিভিন্ন দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। বিধানসভা ভোটের মুখে দলের শক্তি-বৃদ্ধিতে চনমনে মেজাজে অমিত শাহ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিষোদগার করে শাহের খোঁচা, ‘‘এতো সবে শুরু, তৃণমূলে শুধু আপনিই থাকবেন।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।