শিবসেনার শরদ বন্দনার পরই উদ্ধবকে চিঠি সোনিয়ার, মারাঠা রাজনীতিতে ফের ঝড়ের সম্ভাবনা
ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসাবে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে কংগ্রেসের অন্তরবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। এই আবহে দেশের মূল বিরোধী জোটের মসনদ থেকে গান্ধী প্রভাব সরানোর লক্ষ্যে 'সরব' হয়েছিল শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সোনিয়ার স্থানে ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসাবে শরদ পাওয়ারকে দেখতে চেয়ে বারংবার বক্তব্য পেশ করা হয়েছিল শিবসেনা নেতাদের তরফে। সবত্র মারফত জানা যায়, আর এতেই ক্ষুব্ধ হন সোনিয়া।

উদ্ধব ঠাকরেকে একটি চিঠি পাঠান সোনিয়া গান্ধী
এই ঘটনাপ্রবাহের মাঝেই গত সপ্তাহে উদ্ধব ঠাকরেকে একটি চিঠি পাঠান সোনিয়া গান্ধী। এই আবহে সেই চিঠি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মনে করা হয়, সেই চিঠির মাধ্যমে 'প্রেসার পলিটিকস'-এর খেলা খেলতে চাইছে কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতেই মহারাষ্ট্রের মহাআঘাড়ি জোটে ফের ফাটলের সম্ভাবনা দেখা যায়। তবে সেই ফাটলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিল শিবসেনা।

সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য
এদিন সোনিয়া গান্ধীর চিঠি প্রসঙ্গে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, 'সোনিয়া গান্ধী ইউপিএ-র প্রেসিডেন্ট। তাঁর এবং শরদ পাওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট গঠনের ক্ষেত্রে। আমরা জোট করার পর একটি মিনিমাম কমন প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রসঙ্গেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।'

জোট অটুট থাকবে
এদিন সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, 'করোনা ভাইরাস অতিমারীর জন্যে আমাদের কাজ ব্যহত হয়েছে বারংবার। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কমন মিনিমাম প্রোগ্রামে পিছিয়ে পড়েছি কিছুটা। এর জেরে ভবিষ্যতে আমাদের কাজ অনেকটাই বেড়ে গেল। এদিকে এই প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি তাদের কোনও মতামত রাখে, তাকে আমরা সাধুবাধ জানাই। এই ক্ষেত্রে জোর খাটানোর রাজনীতি নেই। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেই রয়েছি।'

কংগ্রেস-শিবসেনার দূরত্ব
উল্লেখ্য, কংগ্রেস শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার বিষয়ে অতটাও উৎসাহী ছিল না। তবে হিন্দুত্ববাদী দলের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শরদ পাওয়ার। এদিকে উদ্ধবের শপথ গ্রহণের সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুপস্থিত ছিল গান্ধী পরিবার। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার উদ্ধবকে সরাসরি চিঠি পাঠালেন সোনিয়া।