গান্ধী ম্যাজিকেই জোড়া লাগল কংগ্রেসে! বিভাজন মেটাতে সক্ষম রাহুল সোনিয়া জুটি?
দলে কোনও বিভাজন নেই। এদিন এভাবেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এর আগে গত ২৩ অগস্ট কংগ্রেসের ২৩ নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে বলেন, দলের ভাঙন রোধ করতে গেলে নেতৃত্বর আরও বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই চিঠি লেখার পর থেকে কংগ্রেসের মধ্যেই অনেক তাঁদের সমালোচনা করেন।

গান্ধী পরিবারের তরফে এতদিন কোনও কথা বলা হয়নি
এই বিষয়ে গান্ধী পরিবারের তরফে এতদিন কোনও কথা বলা হয়নি। কিন্তু এবার তাঁরা সেই নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। এদিন সোনিয়া, রাহুল সহ মোট ১৯ জন শীর্ষ স্থানীয় নেতা ছিলেন। সেই বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে ফের দলের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে নেতাদের তরফে। এমনই জানা গিয়েছে কংগ্রেস মারফত। দলের বক্তব্য, এই বৈঠকের ফলে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে।

রাহুল গান্ধী বিদ্রোহীদের দাবি মেনে নেন
এদিন রাহুল গান্ধী বিদ্রোহীদের দাবি মেনে নিয়ে এও বলেছেন, বুথ স্তরে সংগঠনকে মজবুত করার জন্য আরও বেশি যোগাযোগ গড়ে তোলা প্রয়োজন। এদিকে জানা গিয়েছে, আজকের বৈঠকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া বলেন, তৃণমূল স্তরে কর্মীদের খেয়াল রেখে নতুন করে ফের সংগঠনকে মজবুত করে গড়ে তুলতে হবে তাঁদের।

আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কারা?
জানা গিয়েছে, এদিন বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, বিবেক তাঙ্খা, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, ভুপিন্দ সিং হুডা। এছাড়া গান্ধী পরিবারের অমিগত হিসাবে পরিচিত একে অ্যান্টনি, অশোক গেহলট, অম্বিকা সোনিরাও ছিলেন আজকের এই বৈঠকে।

এদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য
এদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য কংগ্রেসের অক্ষত ভাবমূর্ত মানুষের সামনে তুলে ধরা। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচের বিষয়ে আলোচনা করে রাহুলের রাস্তা সাফ করার লক্ষ্যে এদিন চলবে দর কষাকাষি। জানা গিয়েছে এই মনভাঞ্জন পর্বের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হলে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তিনি এই বৈঠকে বিদ্রোহীদের আনার বিষয়টি সম্ভব করেছেন। বৈঠকে তিনিও মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ছিলেন বলে খবর।