মেদিনীপুর: তৃণমূলের ঘরে বড়সড় ভাঙন। শনিবারের লক্ষ্য একটাই। তাই সকাল থেকেই অমিত শাহের সভার দিকে গাড়ি লাইন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ছয় বিধায়কের নাম সামনে এসেছে। শুধু বিধায়ক নয়, রয়েছেন সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদও।

কারা যোগ দেবেন এদিন?

সুনীল মণ্ডল (সাংসদ), দশরথ তিরকে (প্রাক্তন সাংসদ), বনশ্রী মাইতি (বিধায়ক, উত্তর কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর), তাপসী মণ্ডল (বিধায়ক, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর), অশোক দিন্দা (বিধায়ক, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর),
সুদীপ মুখোপাধ্যায় (বিধায়ক, পুরুলিয়া), বিশ্বজিৎ কুণ্ডু (বিধায়ক, কালনা), সৈকত পাঁজা (বিধায়ক, পূর্ব বর্ধমান), শীলভদ্র দত্ত (বিধায়ক, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগণা), দীপালী বিশ্বাস (বিধায়ক, গাজোল, মালদা), সুকরা মুণ্ডা (বিধায়ক, নাগরাকাটা, জলপাইগুড়ি), শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (প্রাক্তন মন্ত্রী)

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটের নিরিখে জেলার দক্ষিণের জঙ্গল মহলে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে ঘাস ফুল শিবিরের। সেই সময় সাংগঠনিকভাবে শক্ত মাটির উপর দাঁড়িয়ে না থাকলেও ওখানকার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। তারপর এই এক বছরের বেশী সময়ে এই এলাকার শিলাবতী-কংসাবতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।

রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে বিজেপি। বসে নেই বামেরাই। তীব্র গণ আন্দোলনের মধ্যে ফের তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করছে বামেরা। জঙ্গল মহলের তৃণমূল পরিচালিত এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এদিন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে খবর।

ওই তৃণমূল নেতাকে এবিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাজারে এসব কে রটাচ্ছে! আমি কিছুই জানি না ভাই’। এরপর দ্বিতীয় কোনও প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই তিনি ফোন কেটে দেন। ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপিতে যোগদানের কথা স্বীকার না করলেও নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা বলেন, উনি আজ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে তিনি ‘দিদির সঙ্গে, তৃণমূলের সঙ্গেই থাকছেন’ বলেই জানান।

অন্যদিকে, শনিবারেই বাংলার রাজনীতি তোলপাড় হবে। গত কয়েকদিন ধরেই এমনটাই ইঙ্গিত ছিল। অমিত শাহের সভার দিকে নজর রেখেছে গোটা রাজ্য। কে কে যোগ দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, ইতিমধ্যেই একের পর এক কনভয় রওনা হয়েছে মেদিনীপুরের দিকে। পঁচিশ গাড়ির কনভয় রওনা দিয়েছে কোলাঘাটের গেস্ট হাউস থেকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর এক বছর কেটে গেলেও অমানবিকতার ছবি আজও সামনে আসছে ।সচেতন ও মানবিক হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন কারডিওলজিস্ট বিনায়ক দেব।