বারাকপুর: জল্পনা সত্যি হল। তিনি আগেই প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়বেন না। সকালেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মেল ও চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্রবাবু। শীলভদ্র দত্ত দল ছাড়ার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস দল ছাড়লেও এখনও পর্যন্ত বিধায়ক পদ ছাড়েননি শীলভদ্র দত্ত। যদিও ইতিমধ্যে শীলভদ্র দত্তের বারাকপুরের অফিসের চেহারা বদলে ফেলা হয়েছে! শীলভদ্র দত্তের অফিসে লাগানো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতীক লাগানো ব্যানার সবই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
পরিবর্তে অফিসে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি দেওয়া ব্যানার লাগানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা মেদিনীপুরে অমিত শাহের হাত ধরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনিও যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।
দল ছাড়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে অসম্মানিত হচ্ছিলাম। গত ২/৩ দিন আগে থেকে ভীষন ভাবে অসম্মানিত হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই অসহনীয় অবস্থা চলছে। দল সবই জানে। যদিও পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত নেননি বলেই দাবি বিধায়কের।
তিনি জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না। সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মেল করে ও চিঠি পাঠিয়ে দল ছাড়ার কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
চিঠি পাঠিয়ে দল ছাড়ার বিষয়ে জানিয়েছি তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলের জন্য আমি সঠিক ব্যাক্তি না । তবে বিধায়ক পদ ছাড়ার প্রসঙ্গে আমি আম জনতার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব । কারন আমি জনতার ভোট জিতে আসা জনপ্রতিনিধি ।”
শীলভদ্র দত্তকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে । তিনি জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেন, “জল্পনা চলুক, জল্পনা চলতে ক্ষতি কি ? তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখনো নিই নি।”
আগেই শীলভদ্র দত্ত ঘোষণা করে ছিলেন তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়বেন না। এবার তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি । তবে তার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল একথা বলাই যায়। বিজেপিতে যোগ দিলে তিনি ভোটেও লড়তে প্রস্তুত তা এক প্রকার তিনি তার অনুগামীদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ।
এদিকে শীলভদ্র দত্ত দল ছড়ায় দলে কোন প্রভাব পড়বে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ।
বারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের শারীরিক অসুস্থতায় দলীয় সহকর্মীরা তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে শীলভদ্র দত্ত বলেন, “যারা আমাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যারা আমাকে সাহায্য করে ছিলেন, তারা চাইলে তাদের টাকা আমি তাদের ফেরত দিতে প্রস্তুত আছি। তবে রাজনীতির সঙ্গে এই প্রসঙ্গ জড়াবেন না। এই প্রসঙ্গ এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার ।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.