অ্যাডিলেড: দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই গুটিয়ে গেল ভারতীয় ইনিংস৷ দ্বিতীয় নতুন বলে ভয়ংকর হয়ে ওঠা অজি পেসারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা৷ প্রথম দিনের শেষ সেশনে নতুন বল নিয়ে ৯ ওভারে দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর শুক্রবার দিনের শুরুতেই ভারতীয় ইনিংসের লেজ ছেঁটে ফেলে অজি পেস অ্যাটাক৷ ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস৷
১৮৮ রানে তিন উইকেট ছিল ভারতের৷ কিন্তু বিরাট কোহলির রান-আউটের পর ভারতীয় ইনিংস ধস নামে৷ তারপর মাত্র ৫৬ রান যোগ করে শেষ সাতটি উইকেট হারায় ভারত৷ সুতরাংক কোহলির রান-আউটের পরই ম্যাচে ফেরে অস্ট্রেলিয়া৷ এদিন মাত্র ৪.১ ওভারে ভারতীয় ইনিংসের শেষ চারটি উইকেট তুলে নেন অজি বোলাররা৷ বৃহস্পতিবার স্কোরের সঙ্গে এদিন মাত্র ১১ রান যোগ করে ভারত৷
এদিন ৬ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ভারত৷ ক্রিজে নামে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (৯) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (১৫)৷ কিন্তু এদিন প্রথম ওভারেই অশ্বিনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান প্যাট কামিন্স৷ আগের দিনের স্কোরেই অর্থাৎ ব্যক্তিগত ১৫ রানেই আউট হন অশ্বিন৷ এর পর জোড়া ধাক্কা দেন মিচেল স্টার্ক৷ প্রথমে ঋদ্ধিমান সাহা এবং তারপর উমেশ যাদবকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বাঁ-হাতি অজি পেসার৷ দু’জনেই আগের দিনের স্কোরে আউট হন৷ ভারতীয় ইনিংসের শেষ উইকেটটি নেন কামিন্স৷
স্টার্ক ও কামিন্সরে সাঁড়াশি আক্রমণে দ্রুত গুটিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস৷ অজি পেসারদের মধ্যে সফলতম বোলার স্টার্ক৷ ৫৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন বাঁ-হাতি অজি পেসার৷ আর বিশ্বের এই মুহর্তের এক নম্বর বোলার কামিন্স নেন তিনটি উইকেট৷ ২১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৪৭ রান খরচ করেন কামিন্স৷
ভারতীয় ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ক্যাপ্টেন কোহলির৷ ৭৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অজিঙ্ক রাহানের ভুল কলে রান-আউট হন বিরাট৷ একটা সময় মনে হচ্ছিল, সহজেই তিনশো রানের গণ্ডি টপকে যাবে টিম ইন্ডিয়া৷ কিন্তু কোহলি প্যাভিলিয়নের ফেরার পরই বল হাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন অজি পেসাররা৷ তারপর দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে মাত্র ৫৬ রান খরচ করে ভারতীয় ইনিংসকে শেষ করে দেন অজি বোলাররা৷
বিদেশের মাটিতে প্রথম ডে-নাইট টেস্টে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালো না-হলেও চেতেশ্বর পূজারা (৪৩), ক্যাপ্টেন কোহলি (৭৪) এবং ভাইস-ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানের (৪২) লড়াইয়ে ম্যাচে ফিরেছিলেন ভারত৷ বিরাট ও রাহানের দুরন্ত পার্টনারশিপে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে ছিল৷ কিন্তু বিরাট রান-আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরার পরই ম্যাচের মোড ঘুরে যায়৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.